নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃহন্নলাদের নাচানাচির জেরে সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন। ৩ বৃহন্নলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযোগ, বৃহন্নলাদের অত্যাচারের জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিশুটি। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়িতে সদ্যোজাত এলেই বৃহন্নলাদের আগমন নতুন কিছু নয়। সদ্যোজাতকে আশীর্বাদ দেওয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, কখনও কখনও তাঁদের সেই জোরজুলুম মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। যার জেরে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। এদিন ঝাড়গ্রামের শিলদায় এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।


শিলদার বাসিন্দা চন্দন খিলার। গত ৪ ডিসেম্বর যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন চন্দন। কিন্তু যমজদের একজনের হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে জন্মের পর থেকেই ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সুমন নামে ওই শিশুটি। চলতে থাকে চিকিৎসা। দিন কুড়ি আগে সুস্থ হয়ে ওঠে ওই শিশুটি। তারপরই তাকে বাড়ি নিয়ে যায় খিলার দম্পতি।


অভিযোগ, এরপরই আজ সকালে বাড়িতে চড়াও হন বৃহন্নলারা। ১০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকেন তাঁরা। একইসঙ্গে শিশু দুটিকে তাঁদের হাতে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। প্রথমে রাজি না হলেও, পরে একরকম জোর করেই শিশুদুটিকে কোলে নেন বৃহন্নলারা। অভিযোগ, বার বার না করা সত্ত্বেও শিশুদুটিকে নিয়ে নাচানাচি করেন তাঁরা।


আরও পড়ুন, পান্তা ভাতে মিশেছিল আড়াই ইঞ্চি লম্বা সূচ, খেতে গিয়ে বিঁধল গলায়! তারপর...


এরপরই একরত্তি সুমন ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন বাড়ির লোকেরা। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। বিনপুর থানায় অভিযুক্তদের নামে অভিযোগ জানায় ওই শিশুর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে আটক করা হয় অভিযুক্ত বৃহন্নলাদের। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।