Electrocution: ২ দিনে ৪ জন! পশ্চিম মেদিনীপুরে এবার বিদ্যুতের বলি বাবা-ছেলে, ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা
বিকেলে মাঠে কাজ করার সময়ে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় খড়গপুরের মোহনপুরের বাসিন্দা দুলাল কর। বাবাকে বাঁচাতে দিয়ে একই পরিণতি হয় ছেলেরও! ঘটনাস্থলেই মারা যান দু`জনই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২ দিনে ৪ জন! পশ্চিম মেদিনীপুরে দম্পতির পর, এবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। দায় কার? প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর ব্লকের মোরখা গ্রামে। কবে? ২৬ অক্টোবর বুধবার। সেদিন সকালে প্রাতঃকৃত্য করতে গ্রামেরই একটি পুকুরের পাড়ে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হন বাপি মান্ডি ও তাঁর স্ত্রী মুঙ্গলী! ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দু'জনেই। গ্রামবাসীদের দাবি, যে পুকুরের পাড়ে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই পুকুরের মালিক এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল ও পঞ্চায়েত সদস্য। মাছ চুরি আটকাতে পুকুরটিকে নাকি বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির মৃত্যু খবর পাওয়ার পুকুরপাড়ে দিয়ে বিদ্যুতের তারটি গুটিয়ে নিয়ে চলে যান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা! কিন্তু মৃতদেহ তোলা বা থানায় খবর দেননি তিনি! কেন? অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়়ে গ্রামে।
ব্যবধান মাত্র একদিনের। ফের একই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরেরই খড়গপুরে। চাষের জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ২ জন। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। কীভাবে? স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গপুরের মোহনপুরের র শিয়ালসাই পঞ্চায়েতের কৌরজম্বুয়া দুলাল কর। গ্রামে নিজের জমিতেই চাষাবাদ করতেন দুলাল। শুক্রবার বিকেলে শুক্রবার বিকেলে মাঠে যান তিনি। কিন্তু জমিতে যে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে, তা বুঝতে পারেননি!সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই কৃষক। এরপর বাবা বাঁচাতে গিয়ে একই পরিণতি হয় ছেলেরও। ঘটনাস্থলেরই মারা যান দু'জন।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: কলেজে বসে মদ্যপানে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ, ঘটনাস্থলে পুলিস
এর আগে, বাঁকুড়ার কোতুলপুরে রানাহাট গ্রামে চাষের জমিতে কীটনাশক জড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়েছিলেন এক কৃষক। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চাষের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটিতে কাঠের মাধ্যমে তার লাগানো ছিল। কিন্তু সেই কাঠ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের তারটি ছিঁড়ে পড়েছে। সেই তারে সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন ওই কৃষক।