৭ দিনের যুদ্ধে করোনাকে জয় ৪ বছরের খুদের, ফুলের মালায়-গোলাপে `বরণ` করলেন চিকিৎসকরা
স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই শিশুর বাবা৷ শিশুর মা ও বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও, শিশুটির রিপোর্ট আসে কোভিড পজিটিভ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকে পরাজিত করে গোলাপ হাতে বাড়ি ফিরল ৪ বছরের শিশু। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় ডাক্তার থেকে সিস্টাররা, সবাইকে দেখা যায় শিশুটিকে গলায় মালা পড়াতে। হাতে গোলাপ ফুল দিতে। কিন্তু কেন সবাই গলায় মালা পড়াচ্ছে? না অবুঝ শিশুমন তা আর অতশত বুঝে উঠতে পারেনি। পারবেই বা কী করে? ওর বয়েস যে মাত্র ৪ বছর! কিন্তু এই ছোট্ট বয়সেই করোনার মারণ থাবাকে পরাস্ত করেছে সে।
দীর্ঘদিন রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ছোট্ট শিশুটি। শুক্রবার দুপুরে হাতে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফেরে খুদে। গলায় ফুলের মালা, হাতে গেলাপ। ইটাহার থানা এলাকায় বাড়ি ওই শিশুটির। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই শিশুর বাবা৷ সেখান থেকে ইটাহারে ফেরার পর পরিবারের ৩ সদস্যের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ একইসঙ্গে ১৪ দিন বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ৷
২৩ মে সকালে রিপোর্ট আসে ৩ জনের। রিপোর্ট আসতেই দেখা যায়, ওই শিশুর মা ও বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও, শিশুটি কোভিড পজিটিভ। করোনায় আক্রান্ত ওই শিশুটি৷ এরপরই ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ দিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল ওই শিশুটি। এদিন হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় ওই শিশুটিকে।
করোনা জয় করে ফেরার পর আক্রান্ত শিশুর মা বলেন, ৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করে নিয়ে বাড়ি ফিরছি৷ করোনাকে ভয় করার কিছু নেই৷ সঠিক চিকিৎসা হলে প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে যাবেন। পাশাপাশি কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ কুমার গুপ্তা বলেন, দিল্লি থেকে ফেরার পর ওই শিশুর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৷ তবে চিকিৎসার পর এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ ৷ বাড়ি গিয়ে আপাতত আর ৭ দিন ওই শিশুটিকে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন, মোটা টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স দেয় BSF, মাঝরাতে জাতীয় সড়কে পরিযায়ী শ্রমিকদের নামিয়ে পালায় চালক