মঙ্গলকোট খুনে আটক ৫ বিজেপি কর্মী, অভিযোগ মিথ্যা দাবি সৌমিত্র-দিলীপের
সৌমিত্র খাঁ বলেন, `কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্য নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন তৃণমূল বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ`, দাবি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। অনুব্রত মণ্ডলের দিকে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলকোটের ঘটনায় আটক বিজেপির পাঁচ কর্মী। মূল অভিযুক্ত শিশির ঘোষ এখনও ফেরার। খোঁজ চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিস। মঙ্গলকোটের নিগন গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ খুনের ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।
সোমবার নিগন গ্রামে বিজেপির সভা মঞ্চ থেকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সহ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিশির ঘোষ, বোবোল ঘোষ সকলেই উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখায় এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মৃতের বাবা সাগর ঘোষের। সাগর ঘোষ অভিযোগ করেছেন, 'গ্রামে বিজেপি সংগঠন ক্রমশ কমজোরি হয়ে যাচ্ছিল। আমার ছেলেকে দেখে অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসছিলেন সেই কারণেই বিজেপির নেতারা আমার ছেলেকে খুন করেছে'।
'গোষ্ঠীদ্বন্দে খুন হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে'। মঙ্গলকোটের খুনে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি 'রাজনৈতিক রং না দেখে গ্রেফতার হোক আসল অপরাধী'। অন্যদিকে, সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্য নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন তৃণমূল বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ', দাবি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। অনুব্রত মণ্ডলের দিকে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের।
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে, তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর বলেন, 'আর কত মিথ্যা কথা বলবে বিজেপি। এখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ঘটনা নেই। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় সঞ্জিতকে মেরেছে। বিজেপি নিজেরা বাঁচতে পারবে না। সঞ্জিত ঘোষ মৃত্যুর আগে যাঁরা তাঁকে মেরেছে তাঁদের নাম বলেছেন। আগেও সঞ্জিতের সঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল সেটা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। আমরা পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছি। বিজেপি খুনের রাজনীতি করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে'।