নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের মরণোত্তর অঙ্গদানে নজির গড়ল কলকাতা। বর্ধমানের মেমারির যুবকের অঙ্গে বাঁচতে চলেছে একাধিক প্রাণ। লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র-সহ চিন্ময়ের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হবে একাধিক রোগীর শরীরে। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই একে একে পৌঁছতে শুরু করেছে অঙ্গ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছে চিন্ময়ের ত্বক এবং হৃদযন্ত্র। লিভার এবং একটি কিডনি পৌঁছে গিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্য আরেকটি কিডনি গিয়েছে অ্যাপোলোতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বুধবার স্কুটি দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পান মেমারির বাসিন্দা চিন্ময় ঘোষ (৩৪)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর অপারেশনের জন্য তাঁকে কলকাতার পার্ক ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সন্ধে নাগাদ সেখানেই ব্রেন ডেথ হয় চিন্ময়ের। এরপরেই অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় চিন্ময়ের পরিবার। সেইমতো সোমবার রাতেই শুরু হয় হার্ভেস্টিং (অঙ্গগ্রহণের প্রক্রিয়া)। 


আরও পড়ুন: স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ছাত্রের দেহ


উল্লেখ্য, চিন্ময়ের হৃদযন্ত্র পাচ্ছেন সুরজিৎ পাত্র। তাঁর পরিবার বলছে, হার্টের অবস্থা ভাল ছিল না সুরজিৎ পাত্রের, কলকাতা থেকে সুদূর চেন্নাই সর্বত্রই হন্নে হয়ে ঘুরেছে তাঁর পরিবার। অবশেষে মিলল সমাধানসূত্র। কার্যত "দেবদূত" হয়েই এলেন চিন্ময় ঘোষ। এমনই বলছেন সুরজিৎ-এর পরিবার, উত্তেজনা সুরজিৎ-এর মা-এর চোখে মুখে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই সিরোসিস অফ লিভারে ভুগছিলেন বনগাঁর বাসিন্দা বিধান অধিকারী (৫২)। আজ তার শরীরেও প্রতিস্থাপিত হবে চিন্ময়ের লিভার।