বাঁকুড়ায় ফের বড়সড় ভাঙন বিজেপি-সিপিআইএমে, ঘর ভরল তৃণমূলের
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকলি প্রতিহারের দাবি, তৃণমূলের লোকদের বিজেপি সাজিয়ে তৃণমূলের যোগদান বলে দেখানো হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁকুড়া জেলায় রাজনৈতিক পতাকা বদল অব্যাহত। লকডাউন পরিস্থিতিতে জেলায় রাজনীতিতে চলছে দল বদলের হিড়িক। গতকাল বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সোনামুখীতে বিজেপি, সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার কর্মী। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ওই সাংগঠনিক জেলার ওন্দা বিধানসভার কল্যাণী অঞ্চলে লেদাসন ফুটবল মাঠে আজ আবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরলেন বিজেপি সিপিআইএম ছেড়ে আসা ৫০০ কর্মী।
এদিনের সভায় জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, এলাকার বিধায়ক অরূপ খাঁ, জেলার মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা দলের পতাকা তুলে দিলেন বিজেপি ও সিপিআইএম ছেড়ে আসা কর্মীদের হাতে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা আসন হাতছাড়া হয় শাসক দল তৃণমূলের। এখন আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আপাতত নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। করোনা পরিস্থিতিতে দলীয়ভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় মানুষদের ত্রাণ পৌঁছানোর পাশাপাশি নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করার কাজও শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হারানো জমি ফিরে পেতে নিজেদের ঘর গোছানোর প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু করেছে তৃণমূল। বলা যায়, এই যোগদানের মধ্য দিয়ে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে ভোটের ময়দানে নামার আগাম প্রস্তুতি-ই সেরে নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, "বিজেপি এবং সিপিআইএম ছেড়ে এদিন প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছে। করোনা পরিস্থিতি ও আমফানের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দলের নেতাদের পাশে না পেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে বহু মানুষ সামিল হচ্ছেন।" অন্যদিকে, বিজেপির কেউ তৃণমূলে যোগদান করেনি বলে পাল্টা দাবি করেছেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকলি প্রতিহার। তৃণমূলের লোকদের বিজেপি সাজিয়ে তৃণমূলের যোগদান দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'এবার ভালো ইলিশ মিলবে!', মুখে মাস্ক বেঁধে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিল ৫০০০ ট্রলার