ওয়েব ডেস্ক: CID-র নজরে ৬০ সন্দেহভাজন ডাক্তার। প্রয়োজনে চার্জশিট পেশের আগে এদের গ্রেফতার করা হতে পারে। আজও এক ভুয়ো চিকিত্সকের খোঁজ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনার  গোবরডাঙায়। ওই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরুটা হয়েছিল আলিপুর দুয়ারের কাইজার আলমকে দিয়ে... একের পর এক ভুয়ো ডাক্তারের পর্দা ফাঁস হয়েছে রাজ্য জুড়ে। CID- হাতে ধরা পড়েছেন, নরেন পাণ্ডে বা অজয় তিওয়ারির মতো কলকাতার নামী হাসপাতালের চিকিত্সকরাও। CID-র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে রাজ্যে এরকম ৫৫০জন ভুয়ো চিকিত্সক রয়েছেন। ৬০জন ভুয়ো চিকিত্সকের তালিকা তৈরি করে ছে CID। মেডিক্যাল কাউন্সিলের দেওয়া তথ্যের বাইরে গিয়ে এদের খোঁজ মিলেছে। এদের অনেকই কলকাতায় চিকিত্সা করেন।


সূত্রের খবর এদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সেই প্রমাণের ভিত্তিতে এদের জালিয়াতি নিয়ে প্রায় নিশ্চিত CID। এদের জেরা করে আসল সত্যিটা জানতে চান তদন্তকারীরা। CID সূত্রে খবর, এই ৬০ জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে CID। প্রয়োজনে চার্জশিট পেশের আগে এদের গ্রেফতার করা হতে পারে। আপাতত এদের জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা।


শনিবার গোবরডাঙায় সৌমেন দেবনাথ নামে এক জাল ডাক্তারকে গ্রেফতার করল পুলিস। হাবড়া, গোবর ডাঙায় চেম্বার ছিল সৌমেন দেব নাথের। বাড়ি হাবড়ার কামারথুবায়। গোবরডাঙায় তার একটি ফার্মেসিও রয়েছে। অভিযোগ, অন্যের ফার্মেসি লাইসেন্স নম্বর নিয়ে দিব্যি ওষুধের ব্যবসা ফেঁদে বসে সৌমেন। হাবড়া ও গোবরডাঙায় রমরমিয়ে চলত চেম্বার।


গোবরডাঙার চেম্বারে তাকে আটকে দেন স্থানীয়রাই। বারবার দেখাতে বলা হলেও, ডাক্তারি পাস করার সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি সৌমেন। এরপরেই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। ধৃতের ছদিনে পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।