নিজস্ব প্রতিবেদন: রথের আগে বড়সড় ধাক্কা বীরভূম বিজেপিতে। একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন ৬০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে বিজেপির কিষান মোর্চার সম্পাদক শান্তনু মন্ডলের অপসারণকে কেন্দ্র করে। শান্তনু মন্ডলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মেনে নিতে পারছে না জেলা বিজেপির একাংশ। তাদের দাবি জোর করে বল পূর্বক সরানো হয়েছে তাকে। তার প্রতিবাদেই পদত্যাগ। 


শান্তনুবাবুর জায়গায় বসানো হয়েছে সোমনাথ ঘোষকে। কী কারণে শান্তনু মন্ডলকে পদ থেকে সরানো হল বারবার জানতে চাওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের কাছে। জেলা নেতৃত্বের তরফে জবাব মিলেছে, এটা রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে অপসারণের কারণ সংক্রান্ত কোনও জবাব মেলেনি বলে জানিয়েছেন শান্তনুবাবুর সমর্থকরা। 


দীর্ঘ টালবাহানার পর শনিবার বেলা এগারোটা নাগাদ প্রথমে সিউড়ির এসপি মোড়ে বিজেপির কার্যালয়ে ও পরে বিজেপির জেলা সদর দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। এরপরও জেলা সভাপতি দেখা না-মেলায় সেখানেই পদত্যাগ করেন ৬০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী। 


কোচবিহারে বিজেপি সভাস্থল 'হিন্দু মতে' শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল


বিক্ষুব্ধ এই বিজেপি কর্মীদের যদিও দাবি, রথযাত্রার কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়বে না। সেই কর্মসূচিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে তারা। সূচি অনুসারে ১৭ ডিসেম্বর রথ বীরভূম ছেড়ে বেরোলে বিক্ষুব্ধ ওই ৬০ জন অনশনে বসবেন বলেও জানিয়েছেন। অনশনেও সুরাহা না হলে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে গণ আত্মাহুতির হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। 


তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। এমনকী প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের গোষ্ঠীর সঙ্গে রামকৃষ্ণ গোষ্ঠীর সদস্যদের কয়েকবার হাতাহাতিও হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণহীন হচ্ছে বীরভূমে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।