নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ৫ মাস ধরে যাঁরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন তাঁরা কতটা সুরক্ষিত ? তাঁরা কতটা সহযোগিতা পাচ্ছেন তাদের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাছ থেকে? আজ এই প্রশ্ন উঠেছে কারণ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যেসব যোদ্ধারা আক্রান্ত হচ্ছেন, অভিযোগ তাঁদের ক্ষেত্রে উদাসীন আধিকারিকরা। এই অভিযোগ করেছেন চন্দননগরের দমকলের কর্মীরা। করোনা রোগের সাথে লড়াইয়ে নেমেছেন স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার ও নার্স। আর সমাজে করোনা সংক্রমণ রুখতে নেপথ্যে লড়াই করে চলেছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারি বা বেসরকারি যে সমস্ত বিল্ডিং বা  ওয়ার্ডে সংক্রামণের খবর পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই স্যানিটাইজেশনরে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। করোনা মোকাবিলায় দমকল কর্মীদের প্রয়াস কোনও অংশেই কম নয়। দিন-রাত এক করে দমকল কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সংক্রমণ মোকাবিলায়। চন্দননগর কর্পোরেশন এলাকা প্রথম থেকেই করোনার কোপে পড়েছিল। যার ফলে এখানকার এলাকাগুলি লাগাতার স্যানিটাইজড করেছিলেন চন্দননগরের দমকল কর্মীরা। সেই চন্দননগরের অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বিভাগের ৭জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্ভাগ্য যে কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সমাজকে সংক্রমণ মুক্ত করছেন, সেই কর্মীদের প্রতি উদাসীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।


৭ জন পজিটিভ হওয়ার কারণে, এখন ৫ জন কর্মী নিয়ে সেই পরিশ্রমই করে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ওইসব দমকল কর্মীরা লড়াইয়ের ময়দানে ঢালহীন নিধিরাম সর্দার। নেই পিপিই কিট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের সুরক্ষার জন্য তাঁরা বার বার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল ছিল না। যার ফলে আক্রান্ত হয়েছেন কর্মীরা। এই নিয়ে একাধিক ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা।


চন্দননগরের দমকল কর্মীরা জানান," আমাদের কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়াই চাপ সৃষ্টি করে করোনা এলাকায় স্যানিটাইজড করতে পাঠানো হয়। বড়বাবুদের উদাসীনতার জন্য আজ ৭ জন সহকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন । আমাদের পরিবার আছে। কোন সুরক্ষা ছাড়াই আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।"  ৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়াতে ১২ জনের কাজ করতে হচ্ছে ৫ জনকে। এটা নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে চন্দননগরের দমকল কর্মীদের মধ্যে।


আরও পড়ুন, PM-CARES-এর টাকায় ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে: রবিশঙ্কর প্রসাদ