নিজস্ব প্রতিবেদন:  বৃহস্পতিবার রাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার স্বর্নখালী গ্রামে  নিজের বাড়িতেই স্বামী জয়দেব বিশ্বাস গুলি করে খুন করে স্ত্রী স্বপ্না বিশ্বাসকে। ১৫ ঘন্টা কেটে গেলেও ঘরের মধ্যে চাপ চাপ রক্ত এখনও সেই নৃশংসতার স্বাক্ষ্য বহন করে চলেছে। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ১০ বছরের ছেলে অর্ণব বিশ্বাসের বয়ান থেকে জানা গেছে সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করেছে জয়দেব।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার নাগাদ বাড়ি ফিরে আসে জয়দেব। তারপরই অশান্তি শুরু হয়। ছেলে অর্ণব জানায়, “ বাড়ি ফিরে মায়ের মোবাইলের মেসেজ নিয়ে ঝগড়া শুরু করে । অনেকক্ষণ ঝগড়া করার পর বন্দুক বের করে মা চেপে ধরে হাতে গুলি করে। সেই গুলি পিঠ ফুঁড়ে বেড়িয়ে যায়। গুলিটা আমার গায়ে লাগত। আমি মায়ের পাশেই ছিলাম। খুব রক্ত পড়ছিল। ঝগড়ার সময় ঠাকুমা ঠাকুদাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি বাবা। আমি বাইরে যেতে চাইলে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল বাবা। গুলি করার পর দরজা খোলে। তারপর মাকে অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।“
 একই গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব এবং স্বপ্না ১৫ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করছিল। তাঁদের দশ বছরের একটি ছেলেও আছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বপ্নার বাবার অভিযোগ, “ ৩-৪ বছর ধরে জামাই  মেয়েকে সন্দেহ করতে শুরু করে। জামাই ছোটখাটো ব্যবসা করে। আমার মেয়ে হাসপাতালে চাকরি করত। হাসপাতালের নার্স হওয়ার জন্য নানা লোকের ফোন আসত। সেই ফোন নিয়ে জামাই মেয়েকে সন্দেহ করতে শুরু করে। আমাদের কাছেও অভিযোগ করেছিল। আমরা এবং স্বপ্না বলেছিলাম শুধু সন্দেহ করছ, কিছু প্রমাণ তো পাওনি। তবুও জামাই সন্দেহ করে রোজ অশান্তি করত। মেয়ে অতিষ্ট হয়ে বলেছিল ডিভোর্স দেবে। এরপর থেকে ক্রমাগত মেয়েকে এবং আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিত।“


বোমা, বন্দুক হাতে নিয়ে ক্যাফেতে হানা দুষ্কৃতিদের! রাতের কলকাতায় হাড়হিম কাণ্ড
 স্ত্রী মারা যাওয়ার খবর পেতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে জয়দেব বিশ্বাস। প্রতিবেশীরা পুলিসকে জানিয়েছে জয়দেবকে খুঁজে পেলেই তারা পুলিসের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেবে। ইতিমধ্যেই জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে স্বপ্নার পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে গুলি করার পর কৃষ্ণনগর জেলা হাসাপাতালে স্বপ্নার অস্ত্রোপচার হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অপারেশন টেবিলেই মারা যান তিনি।