নেশামুক্তি কেন্দ্রে কিশোরের রহস্যমৃত্যু, থানায় অভিযোগ পরিবারের
চিকিৎসকরা মৃতদেহ দেখে তার পরিবারকে বলে নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে মৃত অবস্থায় প্রীতমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত যুবকের বাড়ির লোকের অভিযোগ মৃতদেহ দেখে তাদের মনে হয়েছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে বিষ খাইয়ে অথবা পিটিয়ে মারা হয়েছে প্রীতমকে।
বরুণ সেনগুপ্ত: নেশামুক্তি কেন্দ্রে কিশোরের রহস্যমৃত্যু। পিটিয়ে মারার অভিযোগ পরিবারের। এপ্রিল মাস থেকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছিলেন শ্যাম্নগরের বাসিন্দা প্রীতম সরকার। ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শ্যামনগর নাথবাগানের বাসিন্দা ১৭ বছরের প্রীতম সরকারকে মানসিক অবসাদের কারণে সোদপুরের এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রে কাউন্সিলিং এর জন্য ভর্তি করা হয় এপ্রিল মাসে। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের তরফ থেকে পাঁচ মাস কাউন্সিলিং এর কথা জানানো হয়। প্রীতম তার পরিবারকে জানিয়েছিল দুর্গা পুজোতে সে বাড়ি যাবে। শনিবার ওই কেন্দ্রের তরফে বাড়িতে যোগাযোগ করে জানানো হয় প্রীতমের জ্বর এসেছে। তাঁরা বাবা নেশামুক্তি কেন্দ্রে গেলেও তাঁকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার দুপুরে হঠাৎ ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে প্রীতমের শ্যামনগরের বাড়িতে তার পরিবারের কাছে ফোন যায়। ফোনে বলা হয় তাদের ছেলের শরীর অসুস্থ। তার ঠিক ১৫ মিনিট পর ফের ফোন করা হয় তার পরিবারের লোককে।
সেই সময় বলা হয় সাগর দত্ত হাসপাতালে তার পরিবারের লোকজনদের চলে আসার জন্য। প্রীতমের পরিবারের লোকজন সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় প্রীতম সরকার মারা গিয়েছে। হাসপাতালে তাঁরা দেখতে পান যে তাদের ছেলেরদেহ স্ট্রেচারে পরে রয়েছে এবং নেশামুক্তি কেন্দ্রের কাউকে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যে প্রীতমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। তাঁর শরীরে অসংখ্য দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: Mahua Moitra: শাড়ি পায়ে ফুটবলে ফ্রি-কিক, মহুয়ার স্কিলে মাত নেটপাড়া
চিকিৎসকরা মৃতদেহ দেখে তার পরিবারকে বলে নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে মৃত অবস্থায় প্রীতমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত যুবকের বাড়ির লোকের অভিযোগ মৃতদেহ দেখে তাদের মনে হয়েছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে বিষ খাইয়ে অথবা পিটিয়ে মারা হয়েছে প্রীতমকে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কামারহাটি ও খরদহ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন প্রীতমের মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের তরফে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস।