বিধান সরকার:  প্রতিবাদ করেননি। বরং শিশুকে যখন যৌন হেনস্থা করছিলেন স্বামী, তখন সাহায্যকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন স্ত্রীই! পকসো আইনে দু'জনকেই ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। হুগলির চুঁচুড়ার ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, হুগলিরই বলাগড়ের ধোবা পাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী রূপা। স্থানীয় একটি স্কুলের সামনেই বাড়ি তাঁদের। দিনটা ছিল ২০২০ সালের ১১ ফ্রেরুয়ারি। স্কুলের সামনে বসেই মুড়ি খাচ্ছিল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী।


অভিযোগ, প্রথমে মাংস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়ির ভিতরে যান রূপা। তারপর ওই শিশুটিকে যৌন হেনস্থা করেন প্রসেনজিৎ! শেষপর্যন্ত কোনওমতে স্কুলে পৌঁছয় নির্যাতিতা এবং শিক্ষিকাকে ঘটনাটি জানায়। স্কুল থেকে খবর দেওয়া হয় বাড়িতে ও বলাগড় থানায়।


আরও পড়ুন: Nadia News: ভাইয়ের বিয়েতে আনন্দ-ফূর্তির পর দাদা ঘটালেন ভয়ংকর কাণ্ড, স্তম্ভিত পরিবার থেকে এলাকাবাসী


তারপর? সেদিন অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় পকসো আইনে। সময় লাগল ৩ বছর। এদিন প্রসেনজিৎ ও তাঁর স্ত্রীকে রূপাকে ২০ বছরের সাজা দিলেন চুঁচুড়া পকসো আদালতের বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য চক্রবর্তী। সাজা ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বামী-স্ত্রী।


এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন শঙ্কর গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, এই ঘটনাটি বিরল। সাধারণত স্বামীর অপকর্মের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। স্রেফ দোষীদের শাস্তি নয়, পঞ্চাশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও পেয়েছে নির্যাতিতা।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)