প্রদ্যুৎ দাস: শৈলী নদীতে গলায় বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার। দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শৈলি নদীতে সকালে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার বিকেলে, খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিলার ডাঙ্গার বাসিন্দা কৃষ্ণপদ রায়ের ছেলে গোবিন্দ রায় বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক রাত পর্যন্ত খুজেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। পরে কিছু লোকের মারফত জানা যায় ওই ব্যক্তি তার কিছু বন্ধুর সঙ্গে ঘোরাফেরা করছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সকালে বাড়ির পাশেই শৈলি নদীতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান। এই অবস্থায় এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বাড়ির লোক ঘটানোর কথা জানতে পেরে নদীর পাড়ে গিয়ে গোবিন্দ রায়কে সনাক্ত করে। পরে ময়নাগুড়ি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস মৃত গোবিন্দ রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


এই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস। জানা যায় আটক ব্যক্তিকে মৃত গোবিন্দ রায়ের সঙ্গেই মঙ্গলবার রাতে দেখা যায়। পুলিস আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা পুলিস তা জানার চেষ্টা করছে।


পুলিসের প্রাথমিক অনুমান মৃত ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করেই সম্ভবত নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানায় পৌঁছায় ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা।


আরও পড়ুন: Bankura: পঞ্চায়েতে 'দিদির দূত'! ফিরতেই গোবরজল-গঙ্গাজলে শুদ্ধিকরণ বিজেপি বিধায়কের


পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিস জানায় ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃত গোবিন্দ রায়ের ভাই সুধীর রায় এবং কাকা এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, মৃত গোবিন্দ রায় একজন টোটো চালক সেই সঙ্গে বয়লার মুরগির ফার্মের ব্যবসা ছিল তাঁর।


তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দাদা বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ,অনেক রাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় মৃত গোবিন্দ রায়ের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা খোঁজা খুঁজি করলেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি’। বুধবার তাঁরা শৈলী নদীর ধারে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং সনাক্ত করেন।


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের রামধোলাই দেওয়ার নিদান!


তাঁরা আরও বলেন তাঁর দাদাকে গলায় বেল্টের ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের অনুমান দাদাকে শ্বাস রোধ করে মারা হয়েছে। তারা চান পুলিস তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)