রণজয় সিংহ: আবাস তালিকায় এবার মৃত ব্যক্তির নাম। যিনি আবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার ভাসুর। সঙ্গে নাম রয়েছে ওই সদস্যার স্বামীরও। কিন্তু ওই এলাকার এক তৃণমূল কর্মী যার টালির বাড়ি প্রথমে তালিকাতে নাম থাকলেও নাম বাদ গিয়েছে। তাঁর আরো অভিযোগ এই এলাকায় যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম তালিকায় আছে। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি ওই সদস্যার স্বামী দিনমজুর। তার টিনের বাড়ি রয়েছে। তাই নাম রয়েছে তালিকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইরা গ্রামের ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Kultali: বাড়ির দোরগোড়ায় বাঘের হামলা! গুরুতর আহত নাবালক, তীব্র আতঙ্কে...


ওই এলাকার বাসিন্দা রাজিব মিয়া হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ প্রথমে তালিকাতে নাম থাকলেও দুইবার সার্ভে হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে। কিন্তু এলাকায় যাদের পাকা টাইলসের বাড়ি তাদের নাম আছে। এদিকে তালিকা সামনে আসতেই চক্ষু চরক গাছ। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা কোহিনুর বেগমের স্বামী আহমেদ হাসান এবং ভাসুর মেহেদী হাসানের নাম রয়েছে এই তালিকায়। যেখানে মেহেদী হাসান দুই বছর আগে মারা গেছেন। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সার্ভে অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে। 


আরও পড়ুন: Weather Update: শীতের আমেজে ব্রেক! ঘনিয়েছে নিম্নচাপ, বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস...


কতটা সঠিক সার্ভে হচ্ছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ধরমা মন্ডলের দাবি মৃত ব্যক্তির নাম ১৮ সালের তালিকাতে ছিল। হয়তো এখানে কিছু ভুল হয়েছে। আর সদস্য হলেও কারোর যদি পাকা বাড়ি না থাকে নাম থাকতেই পারে। পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী আহমেদ হাসান একই দাবী করেছেন। জেলা বিজেপি সম্পাদক রুপেশ আগরওয়ালের প্রশ্ন সার্ভের পর কি ভাবে মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছেl রাজনৈতিক চাপানোতোর। এই ঘটনাই ভিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদা জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।


প্রসঙ্গত, আবাস যোজনার তালিকায় একই পরিবারের ১২ জনের নামের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। প্রতিবাদ করাই আক্রান্ত হতে হয়েছিল এক যুবক। মালদহের মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত যুবক দানেশ আলী সিটুর জেলা কাউন্সিল সদস্য বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবির আলী-সহ তার পরিবারের ১২ জনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত দু সপ্তাহ আগে দানেশ আলী মানিকচক ব্লক এবং জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিল। তাই ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আজ সকালে দানেশ আলীকে একা পেয়ে আবীর আলী সহ ১০ থেকে ২৫ জন আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তার উপর হামলা করা হয়। আবাস তালিকায় একের পর এক ভুল তথ্য বারবার প্রশ্ন তুলছে আবাস তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)