নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা পজিটিভ ব্যাঙ্কের এক মহিলা কর্মী । তাই ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল চুঁচুড়ার আখানবাজারের SBI-এর প্রধান শাখা। হুগলি জেলায় এটাই SBI-এর সবচেয়ে বড় শাখা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা হিয়েছে, গত শনিবার থেকে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন ওই  ব্যাঙ্কের এক মহিলা কর্মচারী। ওষুধ খেয়েও জ্বর না কমায়, সোমবার সোয়াব টেস্ট করেন ওই মহিলা কর্মী। বুধবার তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাঙ্কে জানান তিনি। তারপরই ব্যাঙ্ক ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন সকালে প্রথমে নির্ধারিত সময়েই ব্যাঙ্ক খুলেছিল। দুপুর ২টো পর্যন্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়। দুপুর ২টোর পর সহকর্মীর করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর ব্যাঙ্কে পৌঁছানোর পরই ম্যানেজার ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেন। আগামী ১৪ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন তিনি।


এদিকে ২টোর পর আচমকা ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে শেষের দিকে যাঁরা ব্যাঙ্কে এসেছিলেন তাঁরা সমস্যায় পড়েন। পাশাপশি, আগামী ২ সপ্তাহ ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে, স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়বেন হাজার হাজার গ্রাহক। চুঁচুড়ার এই ব্রাঞ্চের গ্রাহক সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি । এখন মাসের প্রথম পেনশন তোলার চাপ বেশি। বহু মানুষ আছেন, যাঁদের পেনশনের টাকাতেই সংসার চলে। ফলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বেন পেনশনভোগীরা। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাস্তবকে মেনে নিয়ে গ্রাহকদের বক্তব্য,"বন্ধ হয়েছে ঠিক আছে । না হলে অন্য কর্মী বা  গ্রাহকরাও আক্রান্ত হতে পারেন। এতবড় ব্রাঞ্চ। এত গ্রাহক। যদি  মাসের প্রথমে ১৪ দিন বন্ধ থাকে, তাহলে সমস্যা হবে ঠিকই। তবে ব্যাঙ্ক বন্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত।"


গ্রাহকদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বক্তব্য, "সত্যিই সমস্যা । কিন্তু  বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা নেই ।" হাজার হাজার গ্রাহকদের কথায় মাত্র ১৪ দিন আগেই ব্যাঙ্ক খোলার আবেদন রাখা হয়। এদিন আবার ব্যাঙ্ক বন্ধের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক লাগোয়া এটিএম, ডিপোসিট কিয়স্ক সব কিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।"


আরও পড়ুন, হুগলির ২১টি এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন, লকডাউন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে