নিজস্ব প্রতিবেদন: দশমীর রাতে প্রকাশ্যে এক তরুনীকে শ্লীলতাহানী করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় রায়গঞ্জ শহরের বকুলতলা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তৃনমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দীপক মিশ্রকে মারধর এবং থানায় আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ এর সমর্থকরা রায়গঞ্জ থানায় তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা হয় এক পুলিস অফিসারকে বলেও অভিযোগ। পুলিস সূত্রে জানা গেছে থানার গেটের ফুলের টব ভেঙে দেওয়া হয়। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রায়গঞ্জ শহরের বকুলতলা মোড়ে দশমীর শোভাযাত্রা দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে ছিলেন ওই তরুণী। পথে এক যুবক তাঁকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। তরুণী অভিযুক্তকে পাল্টা থাপ্পড় মেরে গন্তব্য স্থানে চলে আসেন। কিছুক্ষণ বাদে অভিযুক্ত যুবক একটি ক্লাবের প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে সেই পথ দিয়ে যাবার সময় দলবল নিয়ে ওই যুবতীর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত কাঁচরাপাড়া, দশমী রাতে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা


তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা-কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত যুবক ও তার দলবল। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে অভিযোগ, দীপক মিশ্রকে মারধর করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিসের পক্ষপাতিত্ব আচরণে দলীয় কর্মী সমর্থকরা থানায় চড়াও হয়। ভেঙে ফেলা হয় ফুলের টব। রায়গঞ্জ থানার পুলিস অফিসার সন্দীপ চক্রবর্তী উত্তেজিতদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। অসুস্থ পুলিস অফিসারকে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাঙচুর, পুলিসি নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় দলীয় কর্মীরা কেউ জড়িত নন বলে জানিয়েছেন তৃনমূল ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি অনুপ কর।