নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্ল্যাটফর্মের যাত্রী আসনে বসে ছিল তরুণী। কিছুটা ইতঃস্তত দেখাচ্ছিল তাকে, কিন্তু সঙ্গে আরও এক যুবক থাকায় প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি স্টেশনে থাকা আর পাঁচ জন। ভেবেছিলেন হয়তো দুজনের মধ্যেই কোনও সমস্যা হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই টনক নড়ে তাঁদের। তরুণী যে জায়গায় বসে ছিল, তার চারপাশে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। অত্যুত্সাহী কয়েকজন কাছে যেতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। তরুণীর দু’হাত ভেসে যাচ্ছে রক্তে। জামাকাপড় লাল হয়ে গিয়েছে। গায়ে হাত দিতেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে তরুণী। বীরভূমের পাঁচরা স্টেশনে বৃহ্স্পতিবার সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার নেপথ্যে যে ঠিক কী কারণ, তা ভাবাচ্ছে পুলিসকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আচমকা বিকট শব্দ, হাওড়া স্টেশনে সাতসকালে ভয়ঙ্কর ঘটনা


বুধবার বিকাল সাড়ে চারটে-পাঁচটা। বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন চলে যাওয়ার পর ফাঁকা ছিল প্ল্যাটফর্ম। পাঁচরা স্টেশনের একেবারে শেষপ্রান্তে বসেছিল তরুণী। তার সঙ্গে প্রথমে এক যুবকও বসেছিলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি উঠে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যুবক উঠে যাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরও ওই তরুণী একা বসে থাকে সেখানে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে বসার জায়গার ওপরই এলিয়ে পড়ে তার দেহ। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের।


আরও পড়ুন: স্কুল ব্যাগে কিছু একটা লুকোচ্ছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি, শিক্ষিকার জেরার মুখে ফাঁস হল পরিবারের ঘৃণ্য সত্য


কাছে যেতেই প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য যাত্রীরা দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে সিট। বসার জায়গার চারপাশে রক্ত দিয়ে লেখা ‘LOVE’। পাশে রয়েছে আরও একটি শব্দ- ‘DIPAK’। প্রত্যক্ষদর্শীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, ‘দীপক’ নামক ওই যুবকের জন্যই তরুণীর এই হাল। কিন্তু তখনও জানা যায়নি তরুণীর নাম-পরিচয়, কোথায় থাকে সে।


আরও পড়ুন: বন্ধ ঘরে দুই মহিলার সঙ্গে স্থানীয় ওষুধের দোকানের মালিক! দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রতিবেশী-পুলিস


রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রাই। হাসপাতালের তরফে সিউড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়। তরুণীর জ্ঞান ফিরলে তার নাম ঠিকানা জানে পুলিস। জানা যায়, প্রিয়া রুই দাস নামে বছর একুশের ওই তরুণীর বাড়ি বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। তার পরিবারের লোককে খবর দিয়েছে পুলিস। ইঙ্গিত মিললেও, ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটাল প্রিয়া, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি প্রিয়ার ‘ভালোবাসার দীপক’কেও খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।