Exclusive: প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী দেখছেন গ্রুপ ডি কর্মী! শোরগোল মালদহে
`ডাক্তারবাবু মাঝে মাঝে বাড়ি যান বা ছুটি নেন, তখন আমাকে চালাতে হয়`, সাফাই ওই গ্রুপ ডি কর্মীর।
রণজয় সিংহ: ডাক্তার ছুটিতে, রোগী দেখছেন গ্রুপ ডি কর্মী! ওষুধও দিচ্ছেন! BMOH ও CMOH-কে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে মালদহের বামনগোলায়।
নামেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কিন্তু চিকিৎসক নেই! বামুনগোলায় জগদ্দলা গ্রামপঞ্চায়েতের কাশিমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এমনই দশা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা বন্ধ। আর হোমিওপ্যাথি বিভাগে যিনি রোগী দেখেন, তিনি ডাক্তার নন! গ্রুপ ডি কর্মী।
আরও পড়ুন: Bhatpara: যত কাণ্ড ভাটপাড়ায়! পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে হাতাহাতি
হোমিওপ্যাথিক বিভাগের চিকিৎসক কোথায়? গ্রুপ ডি কর্মী রঞ্জিত দাস জানালেন, 'ডাক্তার থাকেন। এখন চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছেন। ওনার বাড়ি বর্ধমানে। ডাক্তারবাবু মাঝে মাঝে বাড়ি যান বা ছুটি নেন, তখন আমাকে চালাতে হয়'! তাঁর দাবি, 'বিষয়টি ওপর মহলে জানিয়েছি। চালিয়ে নিতে বলেছে'।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন গ্রুপ ডি কর্মী কীভাবে রোগী দেখছেন? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, 'প্রশাসনকে জানিয়েছি। CMOH, BMOH-কে অনেকবার চিঠি দিয়েছি। এখানে যে ইনচার্জ ছিল, তাঁকে জানিয়েছে। কোনও লাভ হয়নি'। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মুদিপুকুর হাসপাতাল বা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যেতে হয় এলাকার মানুষকে।