নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়ের রয়েছে কিডনির সমস্যা। উপরন্ত করোনায় আক্রান্ত। ঘটি-বাটি বিক্রি করে বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু বকেয়া টাকা না মেটানোয়, রোগীর খোঁজ দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাতপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন রোগীর পরিজনরা। পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Lockdown কার্যকরে কড়া পুলিশি দাওয়াই, নিয়ম ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার ৬৭


আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা গোপী রাভা। করোনায় আক্রান্ত মা সুখেশ্বরী রাভাকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি৷ পরিবারের দাবি প্রথমেই ওই হাসপাতালে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে হয়। দু-তিনদিন কাটতেই আরও লাখখানেক টাকা দিতে হয়। বাড়ি, গবাদি পশু বিক্রি করে সেই টাকার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। তবে এখনও আরও লাখখানেক টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। রোগীর ছেলে গোপী রাভার অভিযোগ, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত মায়ের খোঁজ দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু জানাচ্ছেন  রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বকেয়া মিটিয়ে তবেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে৷ 


আরও পড়ুন: লকডাউনে নেই গাড়ি; উপরন্ত GRP-র বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, নাজেহাল ট্রেন যাত্রীরা


তাঁদের আরও অভিযোগ, সরকারের নির্দেশ থাকলেও নেওয়া হয়নি স্বাস্থ্যসাথির কার্ড। শিলিগুড়ি ভক্তিনগর থানার দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সাহায্য। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা নিতে চায়নি থানা। এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরসভার মেম্বর অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রঞ্জন সরকার বলেন, “কোভিড আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে কোনও ছেলেখেলা চলবে না। রোগীর পরিবার যদি অভিযোগ করেন অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি জেনে সিএমওএইচ (CMOH)-কে জানিয়েছি৷ প্রতিটি হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথি কার্ড গ্রহণ করতেই হবে৷”