নিজস্ব প্রতিবেদন:  সন্তানের বয়স চার বছর। কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি কাশি হয়েছিল। তাতেই রাতে ঘুমোচ্ছিল না। ভোররাতে মেয়ের কান্নায় ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল বাবা-মায়ের। কে সামলাবে মেয়েকে? তাই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা। আর তার জেরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ। মর্মান্তিক ও ব্যতিক্রমী এই ঘটনায় হতচকিত বাঁশদ্রোণীর সারদাপার্কের বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: খাটের নিচে দুটো দেহ, ওপরে শুয়ে ঘুমোল খুনি!


সন্তান এমন এক জিনিস, যার অসুস্থতার রাতের পর রাত জেগে থাকতে কুন্ঠা বোধ করেন না বাবা-মা। কিন্তু সারদাপার্কের এই ঘটনা একেবারেই অন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করল। মেয়ের বয়স মাত্র চার। আর পাঁচটা শিশুর মতোই সর্দি, কাশি লেগে থাকে তার। এবারও তাই হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই ঘ্যানঘ্যান করছিল একরত্তি মেয়েটি। তাতেই ঘুমোতে অসুবিধা মা-বাবার। ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে কে সামলাবে মেয়েকে? তাই নিয়ে কবিতা মণ্ডলের সঙ্গে ঝগড়া হয় স্বামী রবীনের। ঝগড়া তুমুল আকার নেয়। এরপরই চরম পথ বেছে নেন কবিতা। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।


আরও পড়ুন:  মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে দেওয়া হত ফার্স্ট বয়কে! অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে রবীনের সঙ্গে বিয়ে হয় কবিতার। অভিযোগ, বিয়ের পর বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য একাধিকবার চাপ দিয়েছিল রবীন। তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসাও হয়। কবিতার বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে রবীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে কবিতার এই সিদ্ধান্তকেও মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। দুধের শিশুটির কথা ভেবে এই চরম পথ না-ই বা বেছে নিতেই কবিতা, কান পাতলে সারদাপার্কে শোনা যাচ্ছে এখন এমনই গুঞ্জন।