নিজস্ব প্রতিবেদন:  পেশায় অনিশ্চয়তা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, প্রিয় নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা- উত্তরপাড়ার ঘড়িবাড়ি আবাসনের বছর পঁয়ত্রিশের বাসিন্দা অরুন্ধতি দাসের জীবনে হয়তো একইভাবে প্রভাব ফেলেছিল, তাই নিজেকে একইভাবে শেষ করে দিলেন তিনিও। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি, আর তার আগে ফেসবুকে শেয়ার করলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের একটি পোস্ট।

মা বাবা আর ছোট বোনের সঙ্গে থাকতেন অরুন্ধতি।  পরিবার জানিয়েছে মানসিক অবসাদ ছিল তাঁর। কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। রবীন্দ্রভারতীর ইংরাজি সাহিত্যের ছাত্রী অরুন্ধতির বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল কয়েক বছর আগেই। যে চাকরিটা করতেন, সেটাও চলে যায় লকডাউনের আগে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরেন তিনিও। ইদানিং প্রাইভেট টিউশনি করতেন।
এরপর প্রিয় নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা তাঁকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছিল।  ফেসবুকে একটি পোস্টও শেয়ার করেন তিনি।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর আচরণ স্বাভাবিকও ছিল।  সকালে মাংস রান্না করেন, এরপর বাথরুমে স্নান করতে যান।  
দীর্ঘক্ষণ না বেরনোর পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, শাওয়ারে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন অরুন্ধতি।  তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিতসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবার বাকরুদ্ধ, শোকের ছায়া এলাকাতেও।