Burdwan: বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি চিঠি বর্ধমান আদালতের ল ক্লার্কের!
গোরুপাচারকাণ্ডে তখন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত। খোদ আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবীকে।
অরূপ লাহা: সিবিআই আদালতের বিচারপতির পর এবার বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্য়মন্ত্রী সুশীল মোদী! হুমকি চিঠিতে ফের বর্ধমান যোগ। আইনজীবী নন, অভিযুক্ত পেশায় ল ক্লার্ক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
ঘটনাটি ঠিক কী? বর্ধমানের রায়ান গ্রামের বাসিন্দা চম্পা সোম। বর্ধমান জজ কোর্টে ল ক্লাক পদে কর্মরত তিনি। এদিন বিকেলে বিহার পুলিসের তরফে চম্পার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কেন? অভিযোগ, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীকে নাকি চিঠি পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন তিনি! এমনকী, ফোনও করেছেন! ঘটনাটি জানাজানি হতেই তোলপাড় শুরু হয়। সুশীলকে মোদীকে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চম্পা সোম। অভিযুক্ত ল ক্লার্কের দাবি, 'আমি ঠিকমতো ইংলিশ লিখতেই পারি না। ১০০-১৫০ টাকা মাইনে পাই। ঝুপড়ি ঘরে থাকি। ওই ভদ্রলোককে চিনি না, জানি না। কী করে খুনের হুমকি দেব! আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে'। বস্তুত, এই ঘটনার পর আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Chittaranjan Fire: ইংরেজিতে কম নম্বর দেওয়ায় শিক্ষকের উপরে হামলা পড়ুয়াদের, এবার আগুন বাইকে
এর আগে, গোরুপাচারকাণ্ডে অবিলম্বে জামিন না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল খোদ আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারককে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বর্ধমানে আদালতের এক আইনজীবীকে। ধৃতের কাছে পাওয়া গিয়েছিল বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির ভুয়ো আধার কার্ডও।
গোরুপাচারকাণ্ডে তখন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত। ২০ অগস্ট একটি চিঠি পান আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। কীসের চিঠি? ওই চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়, 'অনুব্রত মণ্ডলকে জামিনে ছাড়তে হবে দ্রুত। নইলে পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।' চিঠিটিকে জেলা জজকে পাঠিয়ে দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বিষয়টি জানানো হয় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকেও। শেষপর্যন্ত আসানসোল আদালত চত্বর অভিযুক্ত সুদীপ্ত রায়কে করে পুলিস। পেশায় তিনি আইনজীবী। বর্ধমান আদালতে প্র্যাকটিশ করেন।