নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলেটা এতদিন আমাদের সঙ্গে ছিল। এখন নেই, বন সুন্দরী স্কিম নিয়ে নিয়ে কী কী দুর্নীতি করেছে জিজ্ঞেস করুন। আলিপুরের সভা থেকে এবার নাম করে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  'এতদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। তবে মমতা বা রাজীব কেউই একে ওপরকে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি। তবে এবার কার্যত ভরা সভাতেই প্রসঙ্গ টানলেন মমতা। এ দিন আলিপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, "আমি জানি যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ছিল, বন সহায়ত স্কিমে আমাদের সঙ্গে থাকা এক নেতা কারসাজি করেছে। আমার কাছে অনেকে এই অভিযোগ করেছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গেছে, পায়ের তলার মাটি সরে গিয়ে ভয় পাচ্ছে দল: Rajib


উল্লেখ্য, গতকালও একটি সভা থেকে নাম না করে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে অকারণ ঝগড়া করে বাংলার মানুষকে সুযোগ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত করছে। রাজীবের আরও বক্তব্য, 'কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্প বাংলায় আনতেই দেননি উনি। ঝগড়া করে কেন্দ্রের সাহায্য না নিয়ে বাংলাকে বঞ্চিত করলেন তিনি। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছেন তিনি।'


আজ আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভা করেন মমতা। উত্তরবঙ্গের তিন জেলার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ডাকা হয়েছিল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির তৃণমূল কর্মীদের। তিন জেলাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। আলিপুরদুয়ারে কয়েক মাসের ব্যবধানে তিন তিন বার জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে।


বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে একযোগে লড়াইয়ে নামার নির্দেশ দেন নেত্রী। এ ছাড়া উত্তরের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে পূর্বের কাজের খতিয়ানও দেন মমতা। গত লোকসভায় উত্তরে ভাল ফল করেনি তৃণমূল। একটিও আসনও পায়নি ঘাসফুল। সে কথা মাথায় রেখেই আজ সভা থেকে বিজেপির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন মমতা।