নিজস্ব প্রতিবেদন:  পরনে স্কুল ড্রেস। পিঠে ব্যাগ। এক হাতে বই, দেখেই বোঝা যাচ্ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু আচমকাই তার উপর চড়াও হল জনা চারেক। কথাবার্তার ধরন শুনে প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে হয়েছিল সহপাঠী। নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়েছে, কিছুক্ষণ পরই মিটে যাবে। কিন্তু তা আর হল না। ঝামেলা মিটল, তবে এক জনের প্রাণ যাওয়ার পরই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই সহপাঠীদের মারে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকিনাড়া স্টেশনে।


আরও পড়ুন:  মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে দেওয়া হত ফার্স্ট বয়কে! অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে


মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল রাহুল বর্মা। কাঁকিনাড়া স্টেশনে ট্রেনে উঠতে যাওয়ার সময়েই আচমকা তার পিছন থেকে হামলা। চড়, কিল, ঘুষি পড়তে থাকে এলোপাথাড়ি। প্ল্যাটফর্মে পড়ে যায় রাহুল। মাটিতে ফেলেই লাথি মারতে থাকে তার সহপাঠীরাই। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে মারধর। মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে রাহুলের। প্রত্যক্ষদর্শীরা যতক্ষণে রাহুলকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন, ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিত্সকরা রাহুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


আরও পড়ুন: খাটে স্ত্রীর দেহ, মাথার পাশে স্বামীর গলার নলি কাটা শরীর


প্রথমে এই ঘটনার কারণ নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিস। কেন রাহুলের উপর হামলা চালাল সহপাঠীরা? তদন্তে যে তথ্য উঠে এল, তা চমকে দেওয়ার মতো। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়েই ট্রেনে ওঠা নিয়ে রাহুলের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল তাদের। এছাড়া স্টেশনে মেয়েদের গালিগালাজ করার প্রতিবাদও করেছিল রাহুল। সেই আক্রোশও ছিল।


আরও পড়ুন: পরীক্ষা হলে জ্ঞান হারাল ছাত্রী, কোলে তুলে নিলেন বিধায়ক!


অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে এভাবে কীভাবে ছোটো ছোটো কারণেই অপরাধমনস্ক হয়ে উঠছে কিশোর মন, তা ফের একবার প্রশ্ন তুলল এই ঘটনা।


রাহুলের বাড়িতে পড়ার টেবিলে এখনও একগুচ্ছ বই। পরের পরীক্ষার জন্য তৈরি সাজেশনও। কিন্তু পরীক্ষা আর দেওয়া হল না তার। সামান্য কারণেই সহপাঠীর রোষের শিকার হতে হল তাকে, হারতে হল জীবনের পরীক্ষার কাছে। কাঁদতে কাঁদতে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে রাহুলের মায়ের চোখ। বাক্যিহারা দৃষ্টি শুধু একথাই যেন বলছে, এতটুকু কারণেই কেন শূন্য হতে হল তার বুক...