নিজস্ব প্রতিবেদন:  স্ত্রীকে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ করতেন স্বামী। এই নিয়ে দাম্পত্য বচসা উঠেছিল চরমে। পারস্পরিক সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে একসঙ্গে সংসার করাটা হয়ে উঠেছিল যাতনার। তাই স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে এসেছিলেন নিজের বাড়িতে। শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। ভুল করে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন স্বামীর ভোটার ও আধার কার্ডও। আর তাতেই ঘটে গেল বিপত্তি। স্বামী ফোন করে চেয়ে বসলেন তাঁর আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড লাগবে। সেটা দিতে গিয়েই স্বামীর অ্যাসিড-হামলার শিকার হতে হল তাঁকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটির করিমপুর এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নলহাটির করিমপুর এলাকার বাসিন্দা পরভিন খাতুনের সঙ্গে প্রেম ছিল এলাকারই যুবক রনি শেখের। বছর দুয়েক আগে তাঁদের ভালোবাসা পরিণতি পায়। অভিযোগ, বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই পরভিনকে সন্দেহ করতে শুরু করেন রনি। শুরু হয় পরভিনের উপর অত্যাচার। দিন দুয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন পরভিন।


আরও পড়ুন: জুতোর দোকানে দুই যুবকের সঙ্গে এসেছিল এই মেয়ে, তারপর প্রকাশ্যে যে কাণ্ড ঘটাল, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ দোকানির


অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরভিনকে ফোন করে ডাকেন রনি। তিনি পরভিনকে বলেন,  তাঁর আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের প্রয়োজন রয়েছে। পরভিন বোন ফতেমাকে নিয়ে নলহাটি কলেজ সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমের কাছে যান।


সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন রনি। তাঁর হাতে একটি বোতল ছিল। অভিযোগ, রনি তাঁদের দেখেই বলে ওঠেন, ‘এই বোতলে বিষ রয়েছে। আমি এই বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দেব।’রনির আচরণ দেখে পারভিন ও তাঁর বোন বাধা দিতে যান। তখনই বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা অ্যাসিড পড়ে যায় পারভিনের হাতে।


আরও পড়ুন: জলে নয়, বালি খুঁড়লেই মিলছে রুই মাছ! ওজন আবার ৫০০ গ্রাম...


বিপদ আঁচ করতে পেরেই বোনকে সাইকেলে বসিয়ে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন পারভিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। অভিযোগ, রনি বাইকে ধাওয়া করে পারভিনের গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে চম্পট দেন। অ্যাসিডে পারভিনের মুখ-সহ শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে। ঝলসে গিয়েছে বোন ফতেমারও শরীরের বিভিন্ন অংশ।


আর্তনাদ শুনে স্থানীয়রাই তাঁদের উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করান। পারভিনের পরিবারের পক্ষ থেকে রনির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।