স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলা, সন্তানের দায়িত্ব চাওয়ায় `খুন` স্বামী
সাদ্দাম তাঁর নিজের সন্তানকে কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। গত ১ বছর ধরে তাই বারবার শ্বশুরবাড়িতে যেতেন তিনি। এই নিয়ে বচসাও বাড়ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল দম্পতির। স্বামী চেয়েছিলেন তাঁদের এক মাত্র ছেলেকে নিজের কাছে রাখতে। কিন্তু ছেলেকে দিত চাননি স্ত্রী। সেই ক্ষোভে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট গ্রামে।
গত শনিবার সাদ্দাম মোল্লা নামে বছর চব্বিশের এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলাহাট থানায় এলাকায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর। তদন্তে নামে পুলিস। যুবকের পরিবারের তরফে তাঁর স্ত্রী মমতাজ ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ভিডিও: শিশুদের কলতান শুনে এগিয়ে গেলেন মমতা, ভাব জমালেন মুহূর্তে
জানা গিয়েছে, মন্দিরবাজারের রামনারায়ণপুরের বাসিন্দা সাদ্দামের সঙ্গে ৩ বছর আগে ঢোলাহাটের মমতাজের বিয়ে হয়। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। সাদ্দাম নেশাগ্রস্ত হওয়ায় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। সম্প্রতি আদালতে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল।
সাদ্দাম তাঁর নিজের সন্তানকে কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। গত ১ বছর ধরে তাই বারবার শ্বশুরবাড়িতে যেতেন তিনি। এই নিয়ে বচসাও বাড়ছিল। সাদ্দামের লক্ষীকান্তপুরে একটি দোকান রয়েছে। শনিবার দুপুরে বাইকে বেরিয়েছিলেন সাদ্দাম। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ ছিল না।
বেঁচে থাকলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসাব হবে, কোচবিহারে পরিবার নিয়ে মোদীকে আক্রমণ মমতার
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম দুপুরে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেন, তারপর রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। যদিও সাদ্দামের পরিবারের তরফে মমতাজ ও তাঁর আত্মীদের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তদন্তে পুলিস।