নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবুও খুঁটিনাটি নানা কারণেই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর। ইদানীং অশান্তি আরও বেড়ে গিয়েছিল। কথাটা কানে পৌঁছেছিল জামাইয়েরও। শ্বশুরবাড়িতে এসেও জামাই দেখেছিলেন, মারাত্মক ঝগড়া হচ্ছে শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে। ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। চেষ্টা করেছিলেন, দুজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়ার। তখনকার মতো বিষয়টি মিটেছিল বটে, এর পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেন নি শাশুড়ি-জামাই। বীরভূমের ইলামবাজারের মুরানডিহি গ্রামে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কর্নাটকে স্বামীকে সাপে কামড়েছিল, ক্যানিংয়ে ঘরে বসে এই কাজ করেই স্বামীকে বাঁচালেন স্ত্রী


বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা বরুণ লোহার শুত্রুবার মুরানডিহিতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখেন, শ্বশুর নব লোহারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর তুমুল অশান্তি হচ্ছে। বিষয়টি মাত্রাছাড়া যাতে না হয়, সেজন্য শ্বশুর-শাশুড়ির বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বরুণ। তখনকার মতো বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে যায়।


রবিবার সকালেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাজির হন নব। জামাইয়ের খোঁজ করতে থাকেন। বাবাকে বসতে বলে ঘরের ভিতর স্বামীকে ডাকতে চলে যান নবর মেয়ে। শ্বশুর এসেছে শুনে উঠোনে বেরিয়ে আসেন বরুণ। অভিযোগ, কোনও কথা বলার আগেই আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বরুণের ওপর চড়াও হয় নব।


আরও পড়ুন: শিক্ষিকার বাড়ি জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই প্রতিবেশী ভাড়াটে যুবককে যে অবস্থায় দেখলেন...


ধারালো অস্ত্র দিয়ে জামাইকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে নব। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বরুণ। তাঁর আর্তনাদে ঘরের ভিতর থেকে মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে পালিয়ে যায় নব। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় বরুণের। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।


ধারালো অস্ত্র দিয়ে জামাইকে কুপিয়ে খুন করল শ্বশুর। বীরভূমের ইলামবাজারের মুরানডিহি গ্রামের ঘটনা। শ্বশুর ও শাশুড়ির বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হন বরুণ। সেই আক্রোশেই মেয়ের বাড়ি গিয়ে জামাইকে কোপায় ঘটনার পর থেকে পলাতক