নিজস্ব প্রতিবেদন:   কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। যখনই বাড়ি ফেরেন তাঁর মনে হতে থাকে স্ত্রীর আচরণে বদল এসেছে। শুধু তাই নয়, স্বামীর আরও মনে হতে থাকে স্ত্রী বোধহয় তাঁর প্রতি নয়, পাশের বাড়ির ‘দেওর’এর প্রতিই বেশি আকৃষ্ট। তাঁর সঙ্গে বেশি গল্প, আড্ডা, মজা করেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি স্বামী। মনে মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। ভাবতে থাকেন বোধহয় প্রতিবেশী ওই যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন স্ত্রী। তাই সবক শেখাতে হবে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। স্ত্রী রহিমা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে, স্রেফ এই সন্দেহ করেই প্রতিবেশী যুবকের গায়ে রাসায়নিক ছোড়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক এখন হাসপাতালে ভর্তি। বাগনান থানা এলাকার দক্ষিণ হাবাল এলাকার বাসিন্দা আশাদুল শেখের এই কীর্তিতে ক্ষুব্ধ তাঁর প্রতিবেশীরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পাশের বাড়ির উঠোনে খেলছিল ভাইবোন, মা গিয়ে যা দেখলেন তাতে ছ্যাঁক করে উঠল তাঁর বুক!


জানা গিয়েছে, আশাদুল শেখ কর্মসূত্রে বেশ কিছু দিন ধরেই কুয়েতে থাকেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী একাই থাকতেন। কিন্তু স্ত্রীর স্বভাবচরিত্র নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে তাঁর মনে। তিনি মাস দুয়েক আগে কুয়েত থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক আতিয়ার শেখের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি সন্দেহ শুরু করেন। আতিয়ারের সঙ্গে আশাদুলের এই নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয়।


অভিযোগ, মঙ্গলবার আতিয়ারের ওপর রাসায়নিক হামলা করেন আশাদুল। আতিয়ার যখন কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে রাসায়নিক জাতীয় কিছু ছোড়া হয়। ঝলসে যায় আতিয়ারের হাত, পিঠের বেশ কিছু অংশ।


আরও পড়ুন: পিছন থেকে শাড়ির আঁচলে টান, তাকাতেই মহিলার সঙ্গে বারাকপুরের কাউন্সিলর যা করলেন...


আতিয়ারের আর্তনাদ শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই আতিয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে আতিয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আরও পড়ুন: ফুলশয্যার রাতেই দরজায় কড়া, ঘর থেকে বেরোতেই গলা শুকিয়ে গেল নব দম্পতির


অভিযোগের ভিত্তিতে আশাদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। যদিও গ্রেফতারির পর অন্য সুর শোনা যাচ্ছে আশাদুলের গলায়। তাঁর দাবি, আতিয়ার স্ত্রী রহিমাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তাই রহিমাই বিরক্ত হয়ে এই কাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই।