নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলের যখন এক বছর বয়স, তখনই স্বামীকে হারিয়েছিলেন। সেই থেকেই পরিচারিকার কাজ করে ছেলেকে বড় করেন তিনি। পড়াশোনা শেখান, ছেলের বিয়ে দেন- মায়ের সব দায়িত্বই পালন করেন। কিন্তু ছেলেকে মানুষ করতে ব্যর্থ হন তিনি! সেই ছেলেই বিয়ের পর বউয়ের সঙ্গে মিলে বৃদ্ধ মায়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে। ছেলে-বউমার অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে এলাকা, কাউন্সিলর, বিধায়ক, এমনকি নবান্ন পর্যন্তও গিয়েছেন বছর ষাটের সতি মণ্ডল। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি। অত্যাচার বেড়েছে বই কমেনি। প্রতিকার চেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার ফের দ্বারস্থ ওই বৃদ্ধা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



নরেন্দ্রপুরে কাদারহাটের বাসিন্দা সতি মণ্ডলের তিন কাঠা জমি রয়েছে। পরিচারিকার কাজ করে টাকা জমিয়ে অনেক কষ্টে সেই জমি কিনেছিলেন তিনি। ছেলে একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলসের কাজ করেন। অভিযোগ, ছেলের বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। বউমার সুপর্ণার প্ররোচনায় মায়ের ওই তিন কাঠা জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে ছেলে। কিন্তু সতী মণ্ডল সেই জমি তাদের নামে লিখে দিতে অস্বীকার করেন। তা নিয়েই শুরু হয় অশান্তি।


সন্তানকে চুরি গিয়েছে, কেবল অনুমানেই চোর ধরতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ গৃহবধূর!


মায়ের ওপর ছেলে-বউমা অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি এলাকার কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক, এমনকি নবান্ন পর্যন্তও জানান তিনি। কিছুদিন বিষয়টি ঠিক থাকলেও ফের শুরু হয় অত্যাচার।


সম্প্রতি মাকে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে ছেলে বউমার বিরুদ্ধে। বাড়ির কাজে জল ব্যবহার না করতে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বিচার চেয়ে এবার নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ সতি মণ্ডল। সঠিক বিচারের আশায় দিন গুনছেন তিনি।