নিজস্ব প্রতিবেদন:   স্টেশনের ধারেই পড়ে রয়েছে লাশ। যাতায়াতের পথেই সকলের নজর পড়ছে, সবাই দেখছে, কানাঘুষো করছে, পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। অত্যুত্সাহী কোনও ব্যক্তি হয়তো কিছুটা খোঁজখবর করার চেষ্টা করছে। তবুও ১২ ঘণ্টা ধরে সেখানেই পড়ে থাকল লাশ। রেশপুলিশ-জিআরপির টালবাহানায় মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া স্টেশন চত্বর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ঘড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছে না পরীক্ষার্থীরা, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনই ছড়াল অসন্তোষ


রবিবার বিকালে বাঁকুড়া স্টেশনে এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্ল্যাটফর্মের পাশে বসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা খবর দেন রেলপুলিসে। রেলপুলিস যায়, মৃতদেহ দেখে, অথচ তারা বলে, এটা নাকি জিআরপি-র দায়িত্ব। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, জিআরপিও দায় রেলপুলিসের ঘাড়ে ঠেলে দেয়। এইভাবে দুপক্ষের টালবাহানে কেটে যায় ১২ ঘণ্টা। মৃতদেহ তোলা নিয়ে রাতভর চলে জিআরপি-রেল পুলিশ টালবাহানা। মৃতদের ঘিরে জমতে থাকে ভিড়, মাছি ভোঁ ভোঁ করতে থাকে দেহের ওপর।


আরও পড়ুন: ‘ও চাইলে ফিরে আসুক, আমি অপেক্ষা করতে রাজি’


সোমবার সকালে শেষমেশ হস্তক্ষেপ করেন স্টেশনমাস্টারই। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ এসে দেহটি নিয়ে যায়। কিন্তু কেন এমনটা হল? কেন ১২ ঘণ্টা ধরে প্রকাশ্যে পড়ে রইল একটা লাশ?  স্টেশনে ঘটনাটি ঘটলেও, কেন রেলপুলিস কিংবা জিআরপি দায়িত্ব নিল না? সে প্রশ্ন উঠছে।