Khardaha Police Station: বধূ নির্যাতনের তদন্তে নেমে বৃদ্ধ দম্পতির উপর `দাদাগিরি`! ক্লোজ খরদহ থানার সাব ইন্সপক্টর
সোদপুর সুখচরে এক বৃদ্ধার ব্যাংক একাউন্ট ফ্রীজ এবং বিনা সার্চ` ওয়ারেন্টে বাড়ি সার্চ ও আলমারি তছনছ করার অভিযোগ উঠলো খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিমল দত্তের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুর আদালতের বিচারকের নির্দেশে অভিযুক্ত ওই সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল খড়দহ থানা।
বরুণ সেনগুপ্ত: বধু নির্যাতনের তদন্ত করতে গিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির উপর খড়দহ থানার পুলিস অফিসারের দাদাগিরির অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের।
সোদপুর সুখচরে এক বৃদ্ধার ব্যাংক একাউন্ট ফ্রীজ এবং বিনা সার্চ' ওয়ারেন্টে বাড়ি সার্চ ও আলমারি তছনছ করার অভিযোগ উঠলো খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিমল দত্তের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুর আদালতের বিচারকের নির্দেশে অভিযুক্ত ওই সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল খড়দহ থানা। আপাতত তাকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Housewife Death: ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হওয়া প্রেমিক, চরম পথ বেছে নিল গৃহবধূ
ক্ষুব্ধ ব্যারাকপুর আদালতের এসিজেএম-এর প্রশ্ন কী করে ওই তদন্তকারী অফিসার আদালত বা কোনও অথরিটির অনুমতি ছাড়া বৃদ্ধা লেখা মুখার্জির একাউন্ট ফ্রীজ করলেন? পাশপাশি আরও প্রশ্ন ওঠে কেন এফআইআর কপিতে ৪০৬ ধারা উল্লেখ করা হয়নি?
তদন্তকারী অফিসার বেশি ক্ষমতা দেখিয়েছেন বলেও বলা হয়েছে। তিনি ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দেন এই অতিরিক্ত কাজের জন্য অভিযুক্ত ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার।
প্রসঙ্গত সোদপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মুখার্জি পুলিসের আছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর স্বামি রাহুল মুখার্জি, শ্বশুর গৌতম মুখার্জি এবং শ্বাশুড়ি লেখা মুখার্জির বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় ২৬ জুন বধু নির্যাতনের অভিযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে যান সাব-ইন্সপেক্টর বিমল দত্ত। কিন্তু তদন্তের নামে তিনি বৃদ্ধ দম্পতির উপর দাদাগিরির এবং টাকা লুটপাটের অভিযোগে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
আদালত এটা ভালো চোখে দেখেনি বলেই জানা গিয়েছে। এফআইআর-এ শুধু ৪৯৮এ ধারা দিয়েই কোনরকম ৪০৬ ধারার মামলা রজু না করে সম্পত্তি এবং ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় বৃদ্ধ দম্পতির।
এরপরে অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি আদালতের দারস্থ হতেই বিচারক ক্ষোভে ফেটে পড়েন।