Howrah: প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদের জের? হাওড়ায় ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হল প্রতিবন্ধী শিশুকে!
খবর দেওয়া হল থানায়। দরজা ভেঙে শিশুকে উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেফতার অভিযুক্ত। আতঙ্কে পরিবার।
দেবব্রত ঘোষ: ফ্ল্যাট তৈরি করা নিয়ে বিবাদের জের? ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হল প্রতিবন্ধী শিশুকে! ঘণ্টাদুয়েক পর তাকে উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেফতার অভিযুক্ত। বীরভূমের শান্তিনিকেতনের পর এবার হাওড়ার ডোমজুড়।
জানা গিয়েছে, হাওড়়ার ডোমজুড়ের কাছারিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় প্রামাণিক। অন্য এক জনের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একটি জমি ছিল তাঁর। বছর পাঁচেক আগে সেই জমিটি দিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রোমোটারকে। কেন? আবাসন তৈরির করার জন্য। এরপর যথারীতি ওই জমিতে বহুতল তৈরি করেন প্রোমোটার। শুধু তাই নয়. চুক্তি অনুযায়ী ফ্ল্যাটও পেয়েছেন ধনঞ্জয় ও জমির অন্য় মালিক।
তাহলে বিবাদ কীসের? অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ওই আবাসনে আরও একটি তল তৈরি করা হয়। তা নিয়েই বিবাদ বাধে প্রোমোটার ও জমির মালিক ধনঞ্জয় প্রামাণিকের। ঘড়িতে তখন ১১টা। এদিন সকালে স্কুল ফেরত মেয়েকে নিয়ে আবাসনের নিচে নেমেছিলেন ধনঞ্জয়ের স্ত্রী মামনি প্রামাণিক। প্রতিবন্ধী ছেলে ফ্ল্যাটে একাই ছিল। সেই সুযোগে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ সিন্টু মন্ডল! এরপর তিনতলার ফ্ল্যাটের বারান্দা চলে যায় প্রতিবন্ধী শিশু। বাইরে থেকে ছেলে বারান্দায় বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন মামনি। খবর দেওয়া হয় ডোমজুড় থানায়। ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভাঙার জন্য মিস্ত্রিকে ডাকে পুলিস। ঘণ্টা দুয়েক বাদে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় শিশুকে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর, অভিযুক্ত সিন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আতঙ্কিত পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: জলাশয়ে মিলল স্কুলপড়ুয়ার দেহ! ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন?
এদিকে বীরভূমের শান্তিনিকেতন নিখোঁজ হওয়ার ৫২ ঘণ্টার পর প্রতিবেশীর বাড়়ির ছাদের পাওয়া গেল ৪ বছরের শিশুর নিথর দেহ! বাড়ির মালিক রুবি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করেছে প্রতিবেশী রুবি খাতুনই! ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম শিবম ঠাকুর। বাড়ি, শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছাত্র ছিল চার বছরের ওই শিশু। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড় দূরত্বে মুদির দোকানে গিয়েছিল সে, কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। কেন? খোঁজাখুঁজি করে ছেলের খোঁজ পাননি পরিবারের লোকেরা। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। এদিন সকালে প্রতিবেশীর বাড়ি ছাদ থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিস।