চম্পক দত্ত: আস্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু যেন উঠে এসেছে দাসপুরে। প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কাঁসাই নদীর উপর এই সেতুর নির্মাণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে। একেবারে অনাড়ম্বর ভাবে পুজো দিয়ে এ সেতুর উদ্বোধন হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: WB Uccha Madhyamik Result 2024: বাবা-মা খেতমজুর, এদিকে মেয়ে মেধাতালিকায় শীর্ষে...


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নিজামপুর, তিলন্দ, বালক রাউত, রবিদাসপুর, সৈয়দ করিম, নন্দনপুর, বসন্তপুর, গোবিন্দনগর গ্রামের মতো প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষের কষ্টের অবসান। দাসপুরের নিজামপুর ও পার্বতীপুরের মাঝে কাঁসাই নদীতে বাঁশের সাঁকো ছিল পারাপারের মূল ভরসা। রাতবিরেত বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স আসা-যাওয়ার উপায় নেই। প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার ঘুরপথে আসতে হত! 
অন্য দিকে, কৃষকদের উৎপাদিত ফসলও বাজারে নিয়ে যাওয়ার সমস্যা। ওই বাঁশের সাঁকো আবার নদীতে জল বাড়লে উধাও হয়ে যায়। 


গ্রামবাসীদের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে নিজামপুর গ্রামের গোপাল মল্লিক প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই নতুন সেতু বানিয়ে দিলেন। বর্ষায় নদীতে জলের চাপের সমস্যার কথা ভেবে সেতুর মাঝে প্রায় ৪২ ফুট পিলার, সেই অংশ মজবুত করতে লোহার তারের টান। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর একেবারে মিনি সংস্করণ বললে ভুল হবে না এই সেতুকে।


আরও পড়ুন: Maharashtra: এই একুশ শতকেও কালা জাদু? জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল দু'জনকে, মিলল শুধু পোড়া শরীর...


এদিকে, পারাপারের জন্য স্থায়ী সেতু না পেয়ে বেজায় খুশি গ্রামের মানুষ। তবে অনেকেই সরাসরি প্রশ্ন করছেন, সাধারণ একজন ব্যক্তি এমন সেতু বানাতে পারলে, সরকারের পক্ষ থেকে তা করে দেওয়া গেল না কেন? অথচ গ্রামের মানুষ বারে বারে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পাকাপোক্ত এক সেতুর জন্য। যাই হোক, যেভাবেই হোক, নতুন সেতু পেয়ে আপ্লুত গ্রামের মানুষ। এই সেতুর নাম দেওয়া হয়েছে 'জয় গঙ্গা দুর্গা সেতু'।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)