নিজস্ব প্রতিবেদন: ডুর্য়াসের চা বাগানের অসহায় মানুষগুলির জীবনে লকডাউন দেকে এনেছে বড় বিপদ। সংসারে নেমে এসেছে  চরম অর্থাভাব। অথছ এই সঙ্কটে তাদের পাশে নেই কেউ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোলেও চরম অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে যন্ত্রণা ভোগ করছেন চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্র। বানারহাট ব্লকের মঙ্গলকাটা চা বাগানের নালডাং পাড়া এডিশনাল প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র শিশুটির নাম জিজ্ঞেস মুন্ডা। তার বয়স নয় বছর।


একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ্য নেই পরিবারের। চিকিৎসার অভাবে প্রায় অন্ধ হতে বসেছে ছেলে। এমনই করুন দৃশ্য দেখা গেল মঙ্গলকাটা চা-বাগানের এক বিঘা শ্রমিকের বাড়িতে। জিজ্ঞেস মুন্ডার মা জিতনি মুন্ডা বলেন এক বছর আগে ডিসেম্বর মাসের এক সকালে বাড়ির সামনে ছোটদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই ডান চোখে আঘাত পায় সে।  এরপর থেকেই চোখের জ্বালা শুরু হয় সেই সঙ্গে শুরু হয় জল পড়া। স্কুলের শিক্ষকরা স্থানীয় বানারহাট লায়ন্স ক্লাবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন জটিল সমস্যা তৈরি হচ্ছে চোখে এবং অবিলম্বে শিলিগুড়িতে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। দরকারে অপরেশন করাতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


ওই ছাত্রের মা জীতনি মুন্ডা বলেন তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব শিলিগুড়িতে চিকিৎসা করানো। তার কাছে কোন পয়সা নেই এবং তিনি বাগানের অস্থায়ী শ্রমিক বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তার দুই মেয়ে এক ছেলে। বাবা সন্তোষ মুন্ডার মৃত্যু হয় প্রায় চার বছর আগে। 


বাগানের একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন চারজন। শিক্ষকদের সহযোগিতায় ডাক্তার দেখিয়েছেন মা। ওষুধ কেনার টাকা দিয়েছেন শিক্ষকরা। স্কুল সূত্রে জানা গেছে জিজ্ঞেস  মুন্ডা বেশ ভালো ছাত্র।


স্কুলের শিক্ষকরা চান সেরে উঠুক তাদের ছাত্র। স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এই অবস্থায় সাহায্য ছাড়া জিজ্ঞেসের চোখের চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব। ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চোখে জল অসহায় মায়ের। 


আরও পড়ুন:  ৪ দিনে ৪০০-র বেশি বোমা উদ্ধার; বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে বীরভূম, দাবি বিরোধীদের


স্কুলে গেলে দেখা যায় অন্যান্য বাচ্চাদের মতই পড়াশোনায় ব্যস্ত জিজ্ঞেস। এক চোখ মিটমিট করছে ,অন্য চোখে  ভালো করে দেখতে পারছেনা সে। ডান চোখ দিয়ে জল পড়তে দেখা যায় জিজ্ঞেসের। দারিদ্র্য আর অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে না পেরে চিরতরে অন্ধ হতে চলেছে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখা জিজ্ঞেস মুন্ডা।


নালডাং পাড়া এডিশনাল প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুজিত চৌধুরি বলেন লকডাউনে স্কুল বন্ধ ছিল শুধুমাত্র মিড-ডে-মিল দেওয়ার জন্য তারা যখন স্কুলে আসেন তখন জিজ্ঞেস মুন্ডার চোখের সমস্যা নজরে আসে। তিনি বলেন  প্রথমে ওই স্কুলের এক সহ শিক্ষক প্রকাশ রায় জিজ্ঞেস মুন্ডা ও তার মাকে নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে যান এবং ওষুধ কিনে দেন । কিন্তু পরে আর অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি তারা। স্কুল খুলেছে  জিজ্ঞেস স্কুলে আসলে দেখা যায় যে ওর চোখ দিন দিন খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)