নিজস্ব প্রতিবেদন:  মৃত্যুও মায়ের থেকে আলাদা করতে পারল না বছর দশেকের ছেলেটাকে। ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার পর মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ দেখল ফাইনাল এমব্রেস বা চূড়ান্ত আলিঙ্গন। 
করিমপুরের সুন্দরপুরের বাসিন্দা দেব প্রামাণিক। বছর দশেকের দেব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। খেলতে গিয়ে পা ভেঙেছিল তার, অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। পায়ে বসানো ধাতব পাত খোলার জন্য সোমবার তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বহরমপুরে। বাবা, মা, জেঠুর সঙ্গে ভোর পাঁচটায় রওনা হয় সে। বাস সেতু ভেঙে খালে পড়তেই সব শেষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কেন এভাবে চলে গেল 'ডাক্তার'? করিমপুরে কান্নার রোল


পরিবারের সদস্যরা বলছেন,  কাকভোরে ঘুম থেকে উঠতে চায়নি দেব। অত ভোরে মায়ের কোলে ঘুমোতে ঘুমোতেই বাসে চড়েছিল সে। সেই অবস্থাতেই মৃত্যু! উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, জলের নিচে বাসের ভিতর সিটের তলায় মায়ের গলা আঁকড়ে ঘুমিয়েছিল ছোট্ট দেব। মা ছেলের সেই ঘুম আর ভাঙেনি। খালের ঘোলা জলের নিচে অন্ধকারে সেই ছবি আর ফ্রেমবন্দি করা সম্ভব হয়নি। 


আরও পড়ুন: জীবিত বা মৃত, একবার ওকে এনে দেও! অনর্গল বলে চলেছেন স্ত্রী
মঙ্গলবার করিমপুরে প্রামাণিকদের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, ঘরের বিছানা তখনও অগোছালো। সেখানে রাখা দেবের একেবারে ছোটবেলার ছবি। 
দাদু কাঁদছেন। একেবারে চুপ মেরে গিয়েছে দেবের বোন। তার বয়স ছয়। বাড়ির দাওয়া জুড়ে আত্মীয় পড়শিদের ভিড়।  স্কুলের বন্ধুরা শোকবার্তা নিয়ে হাজির। কেউ মানতে পারছেন না মা-ছেলের এমন মৃত্যু।