নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে টানাপোড়েনের অবসানে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের এক শীর্ষ নেতা। ওই বৈঠকে শুভেন্দু নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব নিয়েও মুখ খুলেছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ পাঠানো হয়েছে দলনেত্রীর কাছে। তাঁর বিবেচনার পর পরবর্তী বৈঠক হতে পারে।    
     
বেশ কয়েকদিন ধরে বেসুরো গাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। 'আমরা দাদার অনুগামী'র মঞ্চে একের পর এক সভা করে চলেছেন। মাঝে মধ্যে 'নেত্রী' আগের মতো আর তৃণমূলনেত্রীর নাম নিচ্ছেন না। শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তাহলে কি বিজেপিতে যাবেন? এসবের মাঝেই শুভেন্দুর বাড়িতে পৌঁছন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তবে বাড়িতে ছিলেন না তিনি। অগত্যা শিশির অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে চাইছে তৃণমূল। সে জন্য তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। বৈঠকে শুভেন্দুর কাছে মনোমালিন্যর কারণ জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে শুভেন্দু মূলত চারটি বিষয় তুলে ধরেছেন। গত জুলাইয়ে তাঁকে পর্যবেক্ষকের পদ থেকে হঠাৎ সরানো সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, জেলায় সাংগঠনিক কাজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পিকে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সংগঠনে তদারকি করছেন, তা না-পসন্দ শুভেন্দুর। দল চালানো নিয়েও আপত্তি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।                             


শুভেন্দু অধিকারীর অনুযোগের কারণ জানানো হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। তার ভিত্তিতেই হবে পরবর্তী বৈঠক। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। 


আরও পড়ুন- 'নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য সামনে আনুক কেন্দ্র' প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার