TMC: চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ? ডেবরায় তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে লাঠিপেঠা!
`পুলিসকে বলেছি, ও যেই হোক, আগে অ্য়ারেস্ট করুন। টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুন`, বললেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
ই গোপী: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা? টাকা ফেরতের চেক বাউন্স! তৃণমূল নেতাকে রেয়াত করলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে রীতিমতো গাছে বেঁধে লাঠিপেটা করা হল। এমনকী, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকার নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম দিলীপ পাত্র। একসময়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ডেবরা ব্লকের সভাপতি ছিলেন তিনি। এদিন সকালে স্থানীয় সত্যপুর এলাকায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে বাঁধা হয় দিলীপকে। এরপর লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কেন? অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে করে যুবক-যুবতীর কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন দিলীপ। কিন্তু চাকরি পাননি কেউই। এরপর যখন টাকা ফেরত চান তাঁরা, তখন চেক দেন অভিযুক্ত। কিন্তু ব্যাঙ্কের জমা দেওয়ার পর, সেই চেকটি বাউন্স করে! কেন? অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল না। কানাইলাল মুর্ম নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'আড়াই বছর আগে চাকরি দেওয়ার জন্য আমার ভাগ্নের কাজ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছিল। যতক্ষণ না টাকা ফেরত দেব, ওঁকে ছাড়ব না'।
আরও পড়ুন: Halisahar: বাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, তৃণমূল পুরপ্রধানের ৫ দিন সিবিআই হেফাজত
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছয় পুলিস। অভিযুক্তকে ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। তৃণমূলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, 'ডেবরায় দিলীপ পাত্র নামে এক একজন চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছিল। যা হওয়ার, তাই হয়েছে। মানুষ ছেড়ে দেবে! ধরেছে, অসম্মান করেছে, গাছে বেঁধেছে। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিসকে বলেছি, ও যেই হোক, আগে অ্য়ারেস্ট করুন। টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুন'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন রাজনৈতিক রং দেখে না। যাঁরা তৃণমূল বলে প্রচার করার চেষ্টা করছে, তাঁদের বলছি, বহু আগে ও তৃণমূল সমর্থক ছিল। আমার ওকে সরিয়ে দিয়েছি'।
এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানগোলায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। প্রথমে বিক্ষোভ-ধরনা, এরপর বাড়িতে শুরু হয় ভাঙচুর। শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলেকে গাছে বেঁধে মারধর করেন বিক্ষোভকারীরা। পূর্ব মেদিনীপুরেই 'পার্থ ঘনিষ্ঠ' হিসেবে পরিচিত ছিলেন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, তো কারও ৫ লক্ষ। চাকরি দেওয়ার নাম করে নান্টুও বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে ওই তৃণমূল নেতা খুন হন! এখন চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরাচ্ছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা।