TMC Leader Murder: বোর্ড গঠনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গুলি
মৃতের স্ত্রী, হালিমা বিবির অভিযোগ, যারা মেরেছে তাঁরা তৃণমূল করে। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সামলা বাজারের মতো জায়গায়, যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। রাত সাড়ে ১০টা, ১১টা পর্যন্ত ক্যারাম খেলা চলে এই অঞ্চলে। সাধারণ মানুষ ওই পথ ধরেই যাতায়াত করেন, এত কিছু সত্বেও কেউই কিছু দেখতে পেলেন না, বা শুনতে পেলেন না কী করে?
রণয় তেওয়ারি: বোর্ড গঠনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গুলি করে খুন। ঘটনার তদন্তে হারোয়া থানার পুলিস। মৃতের নাম শেখ সাহেব আলি। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। হারোয়া থানা এলাকার নাসিরহাটির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। খাস বলান্দা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবার পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে জিতেছিলেন তিনি। মাত্র দুদিন হয়েছে বোর্ড গঠন হয়েছে। এছাড়াও তিনি হারোয়া ব্লক ১, তৃণমূল কংগ্রেস কৃষাণ ও ক্ষেতমজুর কমিটির সভাপতি পদেও ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শেখ সাহেব আলি। তিনি গিয়েছিলেন হারোয়ার গোপালপুরে ব্লক সভাপতি সফিক আহমেদের সঙ্গে। পরে ওখান থেকে ফিরে এসে যান, সামলা গ্রামে অঞ্চল সভাপতি সিরাজ গাজীর বাড়ি।
আরও পড়ুন: Purulia: অযোধ্যা পাহাড়ের রাস্তা এই বর্ষায় কি বন্ধ হয়ে গেল? বাঘমুন্ডির পথে ধসল পাহাড়...
রাত ১১.৪৫মিনিট নাগাদ সিরাজ গাজীর বাড়ি থেকে বের হন শেখ সাহেব আলি। সেখান থেকে, শেখ মোর্শেদ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাইকে করে সামলা বাজারে আসেন শেখ সাহেব আলী। সামলা বাজারেই রাখা ছিল শেখ সাহেব আলীর বাইক।
জানা গিয়েছে, নিজের বাইকে বসতে গিয়েই আচমকা বেশ কয়েকজন ঘিরে ধরে শেখ সাহেব আলিকে। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন শেখ সাহেব আলিকে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি, বুধবার বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, শেখ মোরশেদেরও গুলি লেগেছে পায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
মৃতের স্ত্রী, হালিমা বিবির অভিযোগ, যারা মেরেছে তাঁরা তৃণমূল করে। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, সামলা বাজারের মতো জায়গায়, যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। রাত সাড়ে ১০টা, ১১টা পর্যন্ত ক্যারাম খেলা চলে এই অঞ্চলে। সাধারণ মানুষ ওই পথ ধরেই যাতায়াত করেন, এত কিছু সত্বেও কেউই কিছু দেখতে পেলেন না, বা শুনতে পেলেন না কী করে?
এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ঝির ঝিরে বৃষ্টি পড়ে যাচ্ছিল। এলাকা প্রায় শুনশান ছিল। তাই কেউই কিছু টের পাননি। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ঘটনার জেরে আতঙ্কিত তাঁরা।