North Dinajpur: মহিলা তৃণমূল কর্মীকে `অশ্লীল` মেসেজ, ভিডিও INTTUC সভাপতির, এরপর...
বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী আগে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের (INTTUC) কালিয়াগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই সূত্রে, শ্রমিক সংগঠনের বর্তমান জেলা সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বাসিন্দা শেখর দাস তাঁদের পূর্ব পরিচিত।
ভবানন্দ সিংহ: তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা তৃণমূলেরই এক মহিলা কর্মীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করার এবং তাঁকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠানোর অভিযোগ। অভিযুক্ত শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ওই পরিবার জেলা নেতৃত্বকে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কটাক্ষ বিজেপির। গোটা ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য।
বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী আগে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের (INTTUC) কালিয়াগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই সূত্রে, শ্রমিক সংগঠনের বর্তমান জেলা সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বাসিন্দা শেখর দাস তাঁদের পূর্ব পরিচিত। কয়েকবার কালিয়াগঞ্জের শিমূলতলায় তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছেন তিনি। মাস কয়েক আগে শেখর দাসের পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রহন করেন মহিলার মেয়ে। অভিযোগ, কয়েকদিন কথোপকথনের পরই মেসেঞ্জারে তাঁকে একটি আপত্তিকর, অশ্লিল ভিডিও পাঠান শেখর দাস। অবাক হয়ে যান মহিলা ও তাঁর পরিবার।
তৃণমূল নেতার চরিত্র যাচাই করতে, মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকেই চ্যাট চালাতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা মহিলার ছেলে। অভিযোগ, কয়েকদিন বাদে আরও অশ্লীল প্রস্তাব পাঠাতে থাকে ওই তৃণমূল নেতা। নিজের আপত্তিকর ছবিও পাঠায় সে এবং কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে সরব হলে, হেনস্থার হুঁশিয়ারীও দেওয়া হয় এবং পুলিসে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, তৃণমূল কর্মী হওয়ায় সমস্ত বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি INTTUC-র জেলা সভাপতি শেখর দাস। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্ব কথা বলবে বলে, বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। ঘটনার নিন্দায় সড়ব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলে 'সর্ষের মধ্যেই ভূত' রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।