নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। থানায় রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। দিনভর টানাপোড়েনের পর পরিবারের দাবি মেনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল মৃতের দেহ। জেলা পুলিসের দাবি, আজিজুলকে গ্রেফতার করে আনা হয়নি। তিনি নিজেই থানায় গিয়েছিলেন। তদন্তের পরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। দরকারে জেলাশাসক পর্যায়ের তদন্ত হতে পারেও আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার ৭০ বছরের আজিজুল রহমানকে থানায় ধরে নিয়ে আসা হয় বলে দাবি তাঁর পরিজনদের। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ ওঠে, লকআপে মারধরের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি রামগঞ্জ থানার পুলিস। প্রথম থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছে তারা। মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, দিনভর অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলেও পুলিস নিতে অস্বীকার করেছে। সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে রামগঞ্জ থানার পুলিস।


রামগঞ্জ থানার এদিন দিনভরই ছিল শুনশান। মৃতদেহ ইসলামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে অভিযোগ করেন আজিজুলের পরিজনরা। তাঁদের দাবি মেনেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।


জেলার পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানিয়েছেন, মৃত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে কোনও অভিযোগ ছিল না। তিনি নিজেই থানায় এসেছিলেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর তদন্ত শুরু হবে।


ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আজিজুলের পরিবার। পুলিস বয়ান বিশ্বাস করছেন না তাঁরা। পরিজনদের দাবি, সত্য উদঘাটনে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের করতে হবে। ফলে গোটা ঘটনায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।     


আরও পড়ুন- ১৯ বছর পর শ্রাবণে সৌভাগ্যের যোগ, পড়বে ৫টি সোমবার