নিজস্ব প্রতিবেদন:  ছাদে মেয়েকে নিয়ে বাজি পোড়াচ্ছিলেন স্বামী। নিচে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। বহু ডাকাডাকি, ধাক্কাধাক্কিতেও দরজা খোলেননি। পরে ছুতোর ডেকে দরজার ছিটকিনি খুলতেই বিভত্স দৃশ্য। সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন স্ত্রী। নিউ আলিপুর থানার সাহাপুরের জে ব্লকে এক অভিভাত পরিবারের গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। বধূর পরিবারের তরফে স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান এটি আত্মহত্যা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাহাপুরের জে ব্লকের বাসিন্দা দেবজ্যোতি বর্মন পেশায় আইনজীবী।  বছর দশেক আগে মালদার বাসিন্দা অর্পিতা শর্মার সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। আপাত সুখী দম্পতির মধ্যে যে বিচ্ছেদের চিড় ধরেছিল, তা আঁচ করতে পারেননি প্রতিবেশীরা। মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যেতেন তাঁরা। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করা থেকে শুরু করে নামিদামি হোটেলে খেতে যাওয়া-সব সময় তাঁদের একসঙ্গেই দেখতেন প্রতিবেশীরা।


 



আরও পড়ুন: মধ্যরাতে প্রেমিকের সঙ্গে পুকুরপাড়ে বসে মদ্যপান, যোগ দেয়  আরও এক যুবক! দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে যে অবস্থায় মিলল


কালীপুজোর দিন সন্ধ্যায় আবাসনের ছাদে মেয়েকে নিয়ে বাজি ফাটাচ্ছিলেন দেবজ্যোতি। তাঁর দাবি, অর্পিতা ছাদে না যাওয়ায় তাঁকে নীচে ডাকতে যান তিনি। শোওয়ার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা খোলেননি অর্পিতা। তারপর তিনি এলাকায় কাঠের মিস্ত্রিকে খবর দেন। ছিটকিনি ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তিনি। দেখেন, অর্পিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন।


আরও পড়ুন: স্কুটির লুকিং গ্লাস পাশের গাড়িতে ঠোকা খাওয়ায়  পিছন থেকে একটা ডাক শোনেন স্কুলশিক্ষিকা, তারপরই প্রকাশ্যে...


পরিবারের তরফেই নিউ আলিপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর পুলিসের প্রাথমিক অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন অর্পিতা। কিন্তু কেন? দেবজ্যোতির দাবি, বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেকারণে  অর্পিতাকে  মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন।  কিন্তু অর্পিতা যেতে রাজি হয়নি বলে দাবি দেবজ্যোতির।


 অর্পিতার শোওয়ার  ঘর থেকে একটি  চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিস। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।” বুধবারই নিউ আলিপুর থানায় দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে বোনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন অর্পিতার দাদা। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অর্পিতার উপর মানসিক নির্যাতন করতেন দেবজ্যোতি। মাঝেমধ্যে শারীরিক অত্যাচারও করতেন। দেবজ্যোতি যে মিথ্যা বলছেন, তা দাবি করেছেন তাঁর বৌদিও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।