প্রেমিককে বহুতলের বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে খুন, অভিযোগ বার ড্যান্সার প্রেমিকার বিরুদ্ধে
নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন কেয়া সরকার ওরফে টিনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবাহ বহির্ভূত সর্ম্পকের জেরে প্রেমিককে মদ খাইয়ে বহুতলের বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে খুনের অভিযোগ উঠল বার ড্যন্সার প্রেমিকার বিরুদ্ধে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে বাউড়িয়ার বুড়িখালিতে। মৃতের নাম শশীকান্ত মালিক। তার বাড়ি রাজাপুরের পশ্চিম পাড়ায়। মৃতের স্ত্রী মামনি মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে বাউড়িয়া থানার পুলিস হুগলীর চুচূড়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত কেয়া সরকার ওরফে মিস টিনাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাউড়িয়া থানার পুলিস মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে আমতার মুক্তিরচকের বাসিন্দা মামনির সঙ্গে বছর ১২ আগে পেশায় বার সিঙ্গার রাজাপুরের বাসিন্দা শশীকান্তের বিয়ে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর শশীকান্ত অঙ্কুরহাটির একটি বারে গান গাইলেও বছর দুয়েক আগে আলমপুরের একটি বারে গান গাওয়ার কাজ পায়। ওই বারেই বার ড্যান্সার হিসাবে কাজ করত কেয়া সরকার। বারে একসঙ্গে থাকার সুবাদে বিবাহিত দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এদিকে দুই পরিবারে দুজনের বিবাহ বর্হির্ভত সর্ম্পক জানার পরেই দুটি সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: IAS/IPS Posting: জম্মু ও কাশ্মীর 'কঠিন এলাকা', IAS/IPS পোস্টিংয়ের নতুন শ্রেণীবিভাগ
অভিযোগ সংসারের অশান্তি এড়াতে বছর খানেক আগে নিজের ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে শশীকান্তের সঙ্গে তার ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করে টিনা। সূত্রের খবর বুধবার গভীর রাতে টিনা শশীকান্তের স্ত্রী মামনি মালিককে ফোনে জানায় শশীকান্ত বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
মামনি মালিক জানান গত এপ্রিল মাসে শশীকান্ত টিনাকে নিয়ে তাদের বাড়ি আসার পর টিনা দাবি জানায় মামনি যেন শশীকান্তকে ছেড়ে দেয়। মামনি মালিক জানান বৃহস্পতিবার সকালে শশীকান্ত বাড়িতে আসলেও অন্যমনস্ক ছিল। পরে টিনার মেয়ের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তিনি জানান এরপর রাত ২টো নাগাদ টিনা ফোনে তাকে জানায় শশীকান্ত ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার অভিযোগ টিনা স্বামীকে মদ খাইয়ে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করেছে। অন্যদিকে মৃত শশীকান্ত মালিকের দাদা শশাঙ্ক মালিকের অভিযোগ ভাইকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে কেয়া সরকার ওরফে টিনা।
অন্যদিকে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন কেয়া সরকার ওরফে টিনা। তিনি জানান শশীকান্তর সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক থাকলেও শশীকান্ত বিবাহিত সেটা তিনি জানতাম না। মাস দুয়েক আগে শশীকান্ত বিবাহিত জানার পর থেকেইতাকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন বলে জানিয়েছেন। তার অভিযোগ অশান্তির মাঝেই বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় শশীকান্ত।