স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ, স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর
মৃত গৃহবধূ পূজা মল্লিক গাদি পূর্ববর্ধমানের বড়শুলের বাসিন্দা। বছর দশেক আগে বর্ধমানের সোহারি গ্রামের রবি গাদির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামীর পরকীয়ায় ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই পথের কাঁটা সরাতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পর স্বামী নিজেই গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন থানা গিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে।
মৃত গৃহবধূ পূজা মল্লিক গাদি পূর্ববর্ধমানের বড়শুলের বাসিন্দা। বছর দশেক আগে বর্ধমানের সোহারি গ্রামের রবি গাদির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃতার বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু গত ৬ মাস তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কারণ রবি অন্য একটি মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে পূজা। সেই নিয়ে শুরু হয় অশান্তি।
স্বামীর পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও তাঁকে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। গত সোমবার দুপুরেও এই নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। অশান্তির মাঝেই পূজার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মারা যানপূজা। যদিও তাঁর আগেই মঙ্গলবার পুলিশের কাছে গিয়ে আত্ম সমর্পণ করেছেন মৃতার স্বামী রবি। সোমবার রবি আহত স্ত্রীকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করে গিয়েই সে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করেছে।