নিজস্ব প্রতিবেদন:  স্বামীর সংসারে মন বসছিল না। মন কেড়েছিল প্রতিবেশী এক যুবক। আর তাই পথের ‘কাঁটা’ সরাতে স্বামীকে দিয়ে কাঠারিতে ধার করিয়ে এনে সেই কাঠারির কোপ দিয়ে তাঁকেই খুন করলেন স্ত্রী।  তমলুকের পিপুলবেড়িয়া গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম কার্তিক দাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কার্তিকের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে আগেই। তারপর গ্রামেরই বাসিন্দা সুপর্ণা দাসকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সুপর্ণা কার্তিকের প্রথম পক্ষের তিন মেয়েকে সহ্য করতে পারতেন না। কিছুদিন আগে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুপর্ণা। কার্তিক তা জানতে পারায় বাধা দেন। এরফলে তাঁদের সম্পর্কের আরও অবনতি হতে থাকে। দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। কার্তিকের মেজ ও ছোটো মেয়ে তাদের মামাবাড়ি গিয়ে থাকতে শুরু করে। বড় মেয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পড়াশোনার জন্য সে বাবার কাছেই থাকত।


আরও পড়ুন: চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার SVF কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা


ওই যুবকের সঙ্গে সুপর্ণার অবাধ মেলামেশা মেনে নিতে পারছিলেন না কার্তিক। অভিযোগ, সেই কারণেই রাতে কাঠারি দিয়ে গলার নলি কেটে স্বামীকে খুন করেন সুপর্ণা। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন তিনি। কার্তিক ঘুমিয়ে পড়লে কুঠারি দিয়ে গলার নলি কেটে দেন। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে ওই কুঠারি স্বামীকে দিয়েই কামারশালা থেকে ধার করিয়ে আনেন সুপর্ণা।


আরও পড়ুন: সুপ্রিম’ নির্দেশে PTTI মামলায় বড় জয় মামলাকারীদের, ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ


পুলিস জানিয়েছে, এটাকে প্রথমে ডাকাতির ঘটনা বলে সাজাতে চেয়েছিলেন সুপর্ণা। কিন্তু তাঁকে জেরায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয় পুলিস।  তবে এই ঘটনায় সুপর্ণার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।