নিজস্ব প্রতিবেদন:   ভূত ধরেছে, এই অপবাদ দিয়ে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কেন্দুয়া গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: গলার নলি কেটে স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠাল যুবক, এরপর...


বছর দুয়েক আগে কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কাঠমিস্ত্রি সন্টু বসাকের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে দম্পতির মধ্যে নানা ছোট ইস্যুতে ঝগড়া হত।  বনিবনা না হওয়ায় মহিলাকে বাপেরবাড়ি পাঠিয়ে দেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।  বেশ কয়েক মাস বাপেরবাড়িতেই থাকেন ওই মহিলা। তারপর  শ্বশুরবাড়ি থেকে লোক গিয়ে ফের তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যান বলে দাবি মহিলার পরিবারের।


আরও পড়ুন: 'তিতলি'তে রাজ্যে প্রথম বলি, লণ্ডভণ্ড হল পশ্চিমবঙ্গের এই জেলা! এই পথেই বয়ে গেল ঝড়...দেখুন দৃশ্য



মহিলা মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন।  শ্বশুরবাড়ির লোক, স্বামীর সঙ্গে বেশি কথা বলা, মেলামেশা করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।  তাতেই শ্বশুরবাড়ি লোক মনে করতে শুরু করেন, ওই মহিলাকে ভূতে ধরেছে। তাঁকে গুনিনের কাছে নিয়ে যান। ওই গুনিন বলেন, ‘গৃহবধূকে ভূতে ধরেছে। ভূত ছাড়াতে হবে। তাকে ঝাড়ফুঁক করতে হবে।’


আরও পড়ুন: পুজোর মুখেই বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা!


অভিযোগ, এরপরই ‘ভূত ছাড়াতে’  গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ছ্যাঁকা দেওয়া শুরু হয়।  প্রতিবেশীদের  কাছ থেকে খবর পেয়ে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।