নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের বাড়ির প্যান্ডেল তখন ফাঁকা হতে শুরু করেছে।  পাত্রপাত্রীও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে রাতের খাবার খেতে বসেছেন। আচমকাই আর্তনাদ, চেয়াল-টেবিল পড়ার শব্দ। কীসের শব্দ, প্রথমটায় কিছুই বুঝতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।  আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই দেখেন, পাড়ারই এক যুবক অস্ত্র হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছাদনাতলায়। হাতে চপার, চোখ জবা ফুলের মতো লাল- এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত উদভ্রান্তের মতো দৌড়ে বেড়াচ্ছে সে। যেন কাউকে খোঁজার চেষ্টা করছে। তার কাছে যাওয়ার দুস্কর! পাত্রীর দুই আত্মীয় তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে পিছন থেকে। মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি কোপায় ওই ব্যক্তিকে... এরপরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  ছাদে মেয়েকে নিয়ে বাজি ফাটাচ্ছিলেন আইনজীবী, স্ত্রীকে ডাকতে এসে বেডরুমে যে অবস্থায় দেখলেন...


শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের খোশদেলপুর এলাকায় কামাল সাহাজীর বাড়িতে বিয়ে ছিল। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিয়েবাড়ির আমন্ত্রিতরা সবাই একে একে খেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। বিয়েও সারা, তাই শেষপাতে পাত্রপাত্রীর সঙ্গে খেতে বসেছিলেন পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য। অভিযোগ, সেসময় এলাকারই যুবক সাইফুল সাহাজি চপার হাতে বিয়েবাড়িতে ঢুকে পড়ে।  অস্ত্র হাতেই বিয়েবাড়িতে দাপাদাপি করতে থাকে সে। তাকে আটকাতে যান কামাল সাহাজী ও আরও এক আত্মীয় জুম্মান মন্ডল। 


আরও পড়ুন: পাড়ার ছোকড়া ছেলেপুলে নয়, পূর্বস্থলী থানার এই ২ পুলিস কর্তার কীর্তি শুনে চমকে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও!


অভিযোগ, সাইফুল তাঁদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। যতক্ষণে বাকিরা তাঁদের উদ্ধার করে, দেহের একাধিক জায়গায় ক্ষত তৈরি হয় কামাল ও জুম্মানের। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান।


ততক্ষণে সাইফুলের কীর্তি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের মতো।  স্থানীয় বাসিন্দারাই সাইফুলকে তাড়া করে। ওই বাড়ির অদূরেই ধরা পড়ে যায় সাইফুল। তার ওপর চলতে থাকে উত্তমমধ্যম! কেউ হাতে, কেউবা লাঠিসোটা দিয়ে- গ্রামবাসীরা সাইফুলকে মাটিতে ফেলে যে যার মতো মারতে থাকেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাইফুলের। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: সকালে যাত্রীদের অধিকাংশই ঘুমোচ্ছিলেন, আচমকাই বিকট শব্দ বাসে, তারপর... রাজ্যে ফের বড়সড় বাস দুর্ঘটনা


কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন এমনটা করতে গেল সাইফুল?


এলাকাবাসীদের অনেকেই বলছেন, সাইফুল মানসিকভাবে সুস্থ হয়। এই কাণ্ড ঘটানোর পিছনে আদৌ কোনও কারণ ছিল না! ঘটনায় ভয়াবহতায় থমথমে এলাকা।