নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঝলসে যাওয়া শরীর দেখে মুখ চেনার উপায় নেই। শুধু এটুকুই বোঝা যাচ্ছিল, কোনও পুরুষের দেহ এটা। নিম্নাঙ্গে রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। চারপাশ রক্তাক্ত। হোলির সকালে এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য থেকে গা গুলিয়ে উঠেছিল হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দাদের। কিন্তু তখনও তাঁরা বুঝতে পারেননি, এই শরীর আসলে তাঁদের পরিচিত এক যুবকের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দোল উপলক্ষ্যে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল এক যুবক। দোলের পরেরদিনই মামাবাড়ির পাশে বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝলসে যাওয়া দেহ। একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে নিম্নাঙ্গে। ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে হাওড়ার বাগনানের। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, বিস্ফোরক মজুত ছিল বাঁশবাগানে।ঘটনাস্থলে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড।


আরও পড়ুন: দোলের রাতে আরাবুল ইসলামের মোবাইলে ফোন! চিন্তিত দাপুটে তৃণমূলনেতা


দোলের দিন মামা সোমনাথ দলুইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কিশোরচকের বছর সাতাশের শুভঙ্কর সিং। তিনি উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় ঢালাই কারখানার শ্রমিক ছিলেন। গত বুধবার বরুন্দার শীতলাপুজো উপলক্ষে শুভঙ্কর তাঁর স্ত্রী মমতা সিং ও দুই শিশু সন্তান সহ মামারবাড়ি বরুন্দায় আসেন।


স্ত্রী মমতা সিং, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  তাঁর স্বামী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মামারবাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে যায়। কিছুক্ষণ পরে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। বাড়ির সকলে গ্রামের পুজোয় চলে যাওয়ায় মমতাদেবী একাই তাঁর স্বামীর খোঁছে বাঁশ বাগানে যান। বাঁশ বাগান তখন কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি পরও শুভঙ্করের খোঁজ পাননি তিনি।



আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করার হুমকি, প্রেমিকের মেসেজ পেয়েই আত্মঘাতী ছাত্রী


শুক্রবার সকালে বাঁশ বাগানের এক ধার থেকে শুভঙ্করকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। এই ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছ। বাঁশ বাগানে বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মজুত করা ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করেছিল পুলিশ।


তবে সি আই ডি বম স্কোয়াডের তল্লাশিতে এলাকা থেকে তেমন কোনও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। তবে কীভাবে মৃত্যু হল শুভঙ্করের? কেনই বা তাঁর নিম্নাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন? এসবই ভাবাচ্ছে পুলিসকে।