নিজস্ব প্রতিবেদন: রিপোর্ট নেগেটিভ। তবুও উপসর্গ থাকায় তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সেখানেই তাঁকে যক্ষ্মা রোগের চিকিত্সা করা হয়। শনিবার গভীর রাতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেই যুবকের মৃত্যু হল। পঞ্জাবের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম অমৃত সিং (৩৫)। জানা গিয়েছে,  তাঁর বাড়ি পাঞ্জাবের বানার জেলার তাপামান্ডি থানার তেয়েন্ডা গ্রামে।
 অমৃত গম কাটা মেশিনের অপারেটর ছিলেন । লক ডাউনের আগে ওই যুবক বাঁকুড়া  ও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা হয়ে  বীরভূমে গম কাটাতে এসেছিলেন ।  বীরভূমের মুরারই থানার বাঁধলৈ গ্রামে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ছিলেন তিনি । গত ৫ এপ্রিল জ্বরের উপসর্গ  তিনি প্রথমে যান রাজগ্রাম উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে  রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে  তাঁকে আইসোলেশনে রেখে চিকিত্‍সা করা হয়।


আমরা শুধু রোগটা নিয়েই ভাবছি, লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রের চিঠি প্রসঙ্গে বললেন মমতা
 তাঁর শরীরের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করার জন্য বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে COVID 19 এর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁকে আইসোলেশনে রেখে যক্ষ্মা রোগের চিকিত্‍সা করা হয়। শনিবার রাতে ওই যুবক মারা যান।
মৃত্যুর পর করোনারোধক বিশেষ  পিপি পোশাক পরে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁর মৃতদেহ  আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে মর্গে নিয়ে যান । মৃত্যুর যথাযথ কারণ খতিয়ে দেখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।