নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে ঘুটি সাজাচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকি। আসাউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে বসলেন তিনি। ইতিমধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকি ঘোষণা করেছেন, আগামী নির্বাচনে আদিবাসী, দলিত ও মুসলিমদের একসঙ্গে নিয়ে লড়াই করবেন। সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই বুধবারের বৈঠক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (AIMIM)। রবিবার ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জানিয়ে দেন,'বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবেন। তাঁর সিদ্ধান্ত মতোই চলবেন।' বুধবার ফুরফুর শরিকে সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রাজ্য নেতৃত্ব। এ দিন বৈঠকে ছিলেন নরেন্দ্রনাথ হেমব্রম,
বিটু মুর্মু ও লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদারা। প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। ফলে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। 


সিদ্দিকি ও ওয়াইসির সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অবিজেপি দলগুলির অভিযোগ, মেরুকরণ করে বিজেপিকে ফায়দা করে দেওয়াই মিমের লক্ষ্য। যদিও আসাউদ্দিন ওয়াইসি বারেবারে তা উড়িয়ে দিয়েছেন। আব্বাস সিদ্দিকিও নানা সভা-সমাবেশে ইতিমধ্যেই দাবি করছেন, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম, দলিত ও আদিবাসীদের নিয়ে ফ্রন্ট তৈরি করবেন। অনেকের মতে, আদিবাসীদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সেই উদ্দেশ্যেই। ১০ জানুয়ারি আব্বাস সিদ্দিকি ফ্রন্টের ঘোষণা হতে পারে বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের মতে, আব্বাস সিদ্দিকি ও আসাউদ্দিন ওয়াইসির সমঝোতায় ধর্মীয় মোড়ক লাগছে। সেই ধর্মের ছোঁয়া থেকে বেরোতে চাইছেন আব্বাস সিদ্দিকি। সেই লক্ষ্যেই দলিত ও আদিবাসীদের টানতে চাইছেন। এতে এক তিরে দুই শিকার হবে। প্রথমত, ধর্মনিরপেক্ষ জোট বলে দাবি করতে পারবেন ওয়াইসি-সিদ্দিকিরা। দ্বিতীয়ত, জোটের শক্তি শুধু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং জঙ্গলমহল ও উত্তরের একাংশেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবেন তাঁরা।


আরও পড়ুন- রাজ্যকে Covid Vaccine পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্র, চিঠি এল স্বাস্থ্য দফতরে