প্রবীর চক্রবর্তী: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অভিনব শাস্তি। যোগদানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলে ফিরেছিলেন ৪ আদিবাসী মহিলা। এর জন্য অবশ্য 'প্রায়শ্চিত্ত' হিসবে দণ্ডি কাটতে হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার জনসংযোগ যাত্রায় গিয়ে ৩ আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আজকের দিনে লেডি কিমকে হারিয়েছিলাম, প্রাক্তনও করে দেব


গত ৭ এপ্রিলের ওই ঘটনায় জোর ধাক্কা খায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি। অভিষেক ঘোষণা করেন, ওই ঘটনা দল কোনওভাবেই মেনে নেবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয় জেলা মহিলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই পদ থেকে। মঙ্গলবার তপনে গিয়ে সেই ৩ আদিবাসী মহিলার সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। তাদের সঙ্গে চা খান। দলে ফেরানোর নামে করে প্রথমত ওইসব মহিলা ও দ্বিতীয়ত আদিবাসী মহিলার সঙ্গে যে ব্য়বহার করা হয় তাতে সরব হয় বিরোধী শিবির। তৃণমূল চটজলদি ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে এবার অভিষেকের ওই ৩ মহিলার সঙ্গে দেখা করাকে রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত ৭ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছিল তাকে সভ্য সমাজের কোনও মানুষ সমর্থন করেন না। দলগতভাবেও সমর্থন করা যায় না। তৃণমূল বা অন্য যে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক কেউই সমর্থন করতে পারে না। আমাদের যিনি মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন তাঁর একটা ভূমিকা ছিল বলে শুনতে পেয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ৩ আদিবাসী বোনের সঙ্গে আজ দেখা করেছি। তাদের সঙ্গে চা খেয়ে। তাঁরা কিছু কথা আলাদা করে আমাদের বলেছেন। সেসব কথা প্রকাশ্যে বলা যায় না। দলের যতবড় নেতা বা নেত্রী এর সঙ্গে জড়িত থাকুন তাদের রেওয়াত করা হবে না।  


কী হয়েছিল তপনে? গত ৬ এপ্রিল এলাকার বেশকিছু আদিবাসী বিজেপিতে যোগ দেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ওইদিন ২০০ আদিবাসী মহিলা তাদের দলে যোগ দেন। এরপর দিনই ওই ৪ মহিলা তৃণমূলে ফেলেন। বিরোধীদের দাবি, চাপ দিয়ে তাদের তৃণমূলে ফেরানো হয়। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তাদের ঘাসফুল শিবিরে ফেরানো হয় তা নজর কাড়ে গোটা রাজ্যে। শাস্তি হিসেবে ওইসব মহিলাদের রাস্তায় ডণ্ডি কাটানো হয়। সূত্রের খবর, এমনটাই নিদান ছিল প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর।  ওই ছবি বাইরাল হতেই রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়ে যায়। ঘটনার পরের দিনই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 


জোর করে তৃণমূলে যোগদান কারেনার কথা অবশ্য অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিতে যোগদানকারী মার্টিনা কিস্কু সংবাদমাধ্য়মে বলেছিলেন, ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছে। ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরে এসেছি। বাকীরাও  তৃণমূলে যোগ দেবেন।  তবে সেই সময় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, ওইসব মহিলাদের জোর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। শাস্তি হিসেব দণ্ডি কাটানো হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)